শরণখোলায় মাছের ঘেরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, আতঙ্কে মানুষ

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েকটি এলাকার মানুষ বাঘ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের একটি মাছের ঘেরে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ ঘটনায় আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত দু’মাস ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন রাজাপুর, দাসেরভারানি, খেজুরবাড়িয়া, টগড়াবাড়ি এলাকার লোকালয়ে বাঘ এসে প্রায়ই হানা দিচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ রাতে ভয়ে ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না। সকলকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। বনরক্ষীদের একটি দল গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে টহল দিচ্ছে। এর আগে বন তীরবর্তী খালের চরে ঘাস খেতে যাওয়া দুটি মহিষ, তিনটি গরুর ওপর আক্রমন করেছে হিং¯্র বাঘ। ভোলা নদী ভরাট হওয়ার কারণে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বলে জানা গেছে।
শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন খান জানান, সুন্দরবন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে তাদের বাড়ি সংলগ্ন মাছের ঘেরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি একটি বাঘ দেখতে পান। ঘেরের লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে বাঘটি দৌঁড়ে বনের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে রাতভর গ্রামবাসী মিলে পাহারা দিয়েছেন।
বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো আব্দুস সবুর জানান, তারা খবর পেয়ে কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও এলাকাবাসীদের নিয়ে ওই গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন। তবে বণ্যপ্রাণী যাতে মারা না পড়ে সে ব্যাপারে তারা সবসময় সতর্ক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, গত ২৮ মার্চ বন বিভাগের এক সভায় লোকালয়ে যাতে বণ্যপ্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ৬০ কিলোমিটার বনের জায়গা জুড়ে নাইলনের দড়ি দিয়ে ঘেরা (বেড়া) দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন অর্থ ছাড় পাওয়া গেলে আগামী এক বছরের মধ্যে এ কাজ শুরু হবে। এছাড়া সুন্দরবন সুরক্ষ প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা নদী পুনঃখনন করা হবে বলে তিনি জানান।