পদ্মায় নেমে দুই বন্ধুর মৃত্যু: ২ স্কুলছাত্র নিখোঁজ যমুনায় : সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু-২

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পদ্মায় গোসলে নেমে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। যমুনায় গোসলে নেমে ২ স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। আর সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। ঘটনা তিনটি ঘটেছে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা।


রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই বন্ধুর মৃত্যু: রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বড়কুঠি এলাকার সারিকের ছেলে নীরব (১৫) ও একই এলাকার সায়েদের ছেলে সায়ল (১৫)। দুজনই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বড়কুঠি এলাকার ৬ কিশোর পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন পানিতে তলিয়ে যায়। পরে অন্য চারজন উঠে এসে স্থানীয় লোকজন ডাকে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা পদ্মা নদী থেকে নীরব ও সায়লকে উদ্ধার করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’


যমুনায় গোসলে নেমে ২ স্কুলছাত্র নিখোঁজ: সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে সঞ্জিত কর্মকার (১৫) ও সকাল সূত্রধর (১৪) নামে দুই স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে যমুনা নদীর জেলখানা ঘাট পয়েন্টে গোসলে নেমে তারা নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সঞ্জিত কর্মকার সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশালা মহল্লার উজ্জ্বল কর্মকারের ছেলে এবং সকাল সূত্রধর একই মহল্লার কালু সূত্রধরের ছেলে। সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ‘দোল উৎসবে আবির খেলা শেষে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশালা মহল্লার ৮ স্কুলছাত্র যমুনা নদীতে গোসলের জন্য নামে। এসময় বাকীরা উঠে আসলেও নিখোঁজ হয় সকাল ও সঞ্জিত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।’


সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় দুজনের মৃত্যু: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার আনন্দধাম দাসপাড়ায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় একজন নির্মাণ শ্রমিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন,কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নির্মাণ শ্রমিক শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও পাবনার চাটমহর উপজেলার রেলবাজার এলাকার শ্রী রাজ কুমার দাসের ছেলে সাগর কুমার দাস (১৯)।

মৃত সাগর কুমার দাস বাড়ির মালিক নৃপেন দাসের সম্পর্কে নাতিছেলে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, এদিন সকাল পৌনে আটটার দিকে নির্মাণ শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বাড়িটির সিঁড়ির নিচে তৈরি সেপটিক ট্যাংকের সার্টার খুলতে গিয়ে ভেতরে পড়ে যান। দীর্ঘক্ষণ শরিফুলের কোনো সাড়া না পাওয়ায় সাগর কুমার দাস মই নিয়ে ভেতরে নামেন এবং তিনি অসুস্থ হয়ে ভেতরে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা দুজনকেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।