দারুণ লড়াই, শেষ ওভারে হারল বাংলাদেশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪০ রানে আটকে দেওয়া, এক কথায় দারুণ। নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে হারানো উইন্ডিজের বিপক্ষে এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ব্যাট হাতেও চমৎকার ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন। নিগার সুলতানা, সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তারের ব্যাটিং পারফরম্যান্স এই দুর্যোগেও জয়ের আশা জাগিয়ে রেখেছিল। তবে পারেনি বাংলাদেশ। ১ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ কয়েক ওভারে যে লড়াই, তা থেমে যায় শেষ ওভারে। পাকিস্তানকে ৯ রানে হারানোর পর শেষ পর্যন্ত অচেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া বাংলাদেশকে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে ষোলো আনা। নবম ওভারে দিয়েন্দ্রা ডট্টিনকে (১৭) ফিরিয়ে শুরুটা করেন জাহানারা আলম। ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর এলোমেলো উইন্ডিজের ব্যাটিং। এরপর ৪১ রানের ব্যবধানে নেই আরো ৬ উইকেট। অ্যাফি ফ্লেচারের (১৭) সঙ্গে ৩২ রানের সেরা জুটি গড়েন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শেমাইন ক্যাম্পবেল। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন সালমা ও নাহিদা।
মাত্র ১৪০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল না স্বস্তিতে। যদিও পঞ্চম বলে শামীমা সুলতানাকে (০) ফেরায় তারা। তাকে ফেরানো হ্যালি ম্যাথিউস নতুন বল হাতে তুলে নেন আরেকটি উইকেট, এবার তার শিকার আরেক ওপেনার শারমীন আখতার। ৩০ রানে ২ উইকেট হারালেও নিগার ও গত দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হক ক্রিজে থেকে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। সহজ জয়ের ইঙ্গিত যেন দিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু দলীয় ৬০ রানে এক বিশাল ধাক্কা লাগে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে। লেগ স্পিনার অ্যাফি ফ্লেচার টানা দুই ওভারে ৬ বলের ব্যবধানে ফেরান ফারজানা (২৩), রুমানা আহমেদ (০) ও রিতু মনিকে (০)। শূন্য রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার ধাক্কা কাটানোর দায়িত্ব পড়েছিল নিগারের কাঁধে। অধিনায়ক পারেননি সেই দায়িত্ব পালন করতে। সাবেক অধিনায়ক সালমার সঙ্গে তার জুটি ২৫ রানের বেশি হয়নি। ২৫ রানে আউট হন নিগার। ওই ওভারেই ম্যাথিউস তার চতুর্থ উইকেট নেন ফাহিমাকে (০) বোল্ড করে।
তবে অভিজ্ঞ সালমা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়তে থাকলেও দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন। দলীয় ১১০ রানে টেলরের বলে মিডউইকেটে ভুল শট খেলে রামচরকের ক্যাচ হন তিনি ২৩ রান করে। ২ উইকেট হাতে রেখে দরকার ৩১ রান। জাহানারা আলম একটি চার মেরে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু টেলরের পরের ওভারে এক্সট্রা বাউন্সের বলটি ছুড়ে দেন রামচরকের হাতে। একপ্রান্ত আগলে রাখা নাহিদা ছিলেন শেষ ভরসা, সঙ্গী ফারিহা তৃষ্ণা। শেষ ৪.৩ ওভারে টিকে থেকে জয় এনে দেওয়ার মিশনে বেশ সাবলীল ছিলেন তারা। একদিকে উইকেট ধরে রাখার চাপ, অন্যদিকে রানের গতি বাড়ানো। তাতে শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ৮ রান। নাহিদা প্রথম বলে ডাবল নিয়ে ড্রেসিংরুমে উচ্ছ্বাস ছড়ান। দ্বিতীয় বলে নেন সিঙ্গেল। তৃষ্ণা স্ট্রাইকে যান। টেলরের নিচু বলে হন বোল্ড। তাতে শেষ হয় বাংলাদেশের লড়াই। ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন নাহিদা। জয় উঁকি দিলেও দিলো না ধরা, বাংলাদেশ হারল ৪ রানে। উইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ম্যাথিউস। তিনটি করে পান ফ্লেচার ও টেলর।