সরকার ও আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ

0

পবিত্র মাহে রমজানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আগামী ১৫ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সারা দেশে এই পণ্য বিক্রি শুরু হবে। প্রতিবছরই টিসিবি ট্রাকে নির্দিষ্ট পণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করে থাকে। অন্যান্য সময়ে টিসিবির ট্রাকের পণ্যের ব্যাপারে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের খুব একটা আগ্রহ দেখা না গেলেও এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাকে এবার মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে। এসব মুখ দেখে সহজেই অনুমান করা যায়, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বাজারমূল্যের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। গত দুই বছরে বহু মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। অনেকের আয় কমেছে। অনেকে দরিদ্রের কাতারে নেমে গেছে। ভোগ্যপণ্যের দাম যে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সময়ে টিসিবি কিছুটা কম দামে ট্রাকে করে রাজধানীতে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এসব ট্রাকের পেছনে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে যে পণ্য থাকে, তা প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষকে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু দেখা যায় লাইন ধরে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ। গত সোমবার থেকে প্রতিটি ট্রাকে বাড়তি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ কেজি খাদ্যপণ্য। টিসিবি জানিয়েছে, রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে দুইবার করে সুলভ মূল্যে পণ্য দেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলছে, রমজান এখনও অনেক দূরে। ইতোমধ্যে অনেক কষ্ট জমাট বেধেছে। এবার টিসিবির কার্যক্রমকে দুই ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের পণ্য বিক্রি চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। পরে ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবার পণ্য বিক্রি করা হবে। এদিকে মূল্য কমাতে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল আন্দোলন শুরু করার পর সরকার নিত্যপণ্যের বাজার সামাল দিতে ভোজ্য তেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আন্দোলনকারী ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সুফল যেন সাধারণ ভোক্তারা পায় , কর্মকর্তারা যেন বুঝতে পারেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ সারি মানে মানুষ কম দামে ভোগ্যপণ্য পেতে চায়। আমরা আশা করব মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের কথা ভেবে টিসিবির ট্রাকসংখ্যা ও ট্রাকে বিক্রীত পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবেন।