‘বিজেপির জয় অপ্রত্যাশিত না হলেও চমক আছে’

0

জয়ন্ত চক্রবর্তী॥ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার অধ্যাপিকা মহানন্দা কাঞ্জিলালের মতে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চার রাজ্যে বিজেপির জয় অপ্রত্যাশিত না হলেও এই জয়ে চমক আছে। তিনি মনে করেন, বিজেপি তাদের স্টান্স বদল করে এই জয় পেয়েছে। চিরাচরিত ধর্মের বিভাজনে না গিয়ে তারা উন্নয়নের মডেলে তাদের সাফল্য হাসিল করেছে। মহানন্দা কাঞ্জিলালের মতে, অর্থনৈতিক অবনয়নের পরেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্য পাওয়ার পেছনে আছে যোগী আদিত্যনাথের দলিতদের উন্নয়নের মডেল। আখিলেশ সরকারের সময় আর্থিক বৃদ্ধির হার আট শতাংশ হলেও এবং যোগীর আমলে তা দু’শতাংশে নেমে গেলেও, মানুষ উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বিকল্পহীন প্রতিপক্ষ না থাকায়।
মহানন্দা কাঞ্জিলাল মানবজমিনকে জানান, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়, রাজপূত অর্থাৎ উচ্চবর্ণের ভোটারদের ওপর নির্ভর না করে যোগী যে পিছলে বর্গ ও দলিতদের মধ্যে কাজ করেছেন তার ডিভিডেন্ট তিনি তুলেছেন। অধ্যাপিকা কাঞ্জিলালের মতে, উত্তরাখন্ডে বিজেপির জয় মোদির কারণে। দেবভূমের মানুষ মোদির ওপর আস্থাশীল। তাই তারা ঢেলে ভোট দিয়েছেন বিজেপিকে। গোয়ায় ম্যাজিক ফিগারের থেকে একটি কম ভোট পেলেও বিজেপির জয় সেই রাজ্যে মানুষের ম্যানডেট বলে মনে করছেন অধ্যাপিকা কাঞ্জিলাল। তৃণমূল কংগ্রেস-এর একটি আসন না পাওয়ার ঘটনাটিকে খুব বড় করে দেখছেন না মহানন্দা। তারা পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছে ভিন রাজ্যে এটাই বড় করে দেখছেন তিনি। মণিপুরে বিজেপির জয়টাও প্রত্যাশিত বলে মনে করছেন মহানন্দা কাঞ্জিলাল। পাঞ্জাবে আপ-এর জয় কংগ্রেস এর ব্যর্থতা বলে তাঁর ধারণা। ক্যাপ্টেন আমরিন্দর সিং হেরে গেলেও কামড় দিয়েছেন। নবজ্যোৎ সিং সিধু ও চরঞ্জিত চান্নির বিবাদ শুধু তাঁদের নিজেদের বিপাকে ঠেলেছে তা নয়, দলকেও গাড্ডায় ফেলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উন্নয়ন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি।