ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে তারা বিক্ষোভ করেন। এর আগে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ কর্মসূচি থাকলেও সেখানে না গিয়ে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে অবস্থান নেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মিছিলযোগে প্রশাসনিক ভবনের দিকে যেতে চাইলে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা গেটে তালা দেয়। ফলে মূল গেটের বাইরের রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তিন হাজার সিট গেল কই, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘উই ওয়ান্ট কলেজ, উই ওয়ান্ট সাবজেক্ট’, ‘অনিয়ম মানি না, মানব না, মানব না’, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা আমাদের অধিকার’, ‘সকলের ভর্তি নিশ্চিত কর’, বলে স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, দুই দফা দাবিতে গত ২ মার্চ সাত কলেজের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত অবরোধ কর্মসূচির পর সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্বিতীয় দফা দাবি (অপেক্ষামান থাকা আসনে মেধাতালিকা প্রকাশ ) মেনে নিয়ে নোটিশ প্রকাশ করেছে, এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু, এখনও ওই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি। তারা আরও বলেন, যেখানে আমাদের ১ম দফা দাবি ছিল সাত কলেজে ২৬ হাজার ১৬০টি আসনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ আসন পূর্ণাঙ্গ করার কোন নোটিশ প্রকাশ করেনি। এ অবস্থায় অবিলম্বে ১ম দফা দাবি নিশ্চিত করে নোটিশ প্রকাশ করতে হবে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা বলেন, ভর্তির নোটিশে স্টার চিহ্নিত ছিল। যেমন গণিত বিষয়ে আসন আছে ১০০ টি। সব বিভাগ মিলিয়ে এই আসন। এখন তারা যদি সায়েন্স, আর্টস, কমার্সে আলাদা আলাদা ১০০ টি আসন করে ধরে তাহলে আসন হয় তিনশ। কিন্তু আসন তো মূলত একশটি। এটা তাদের বুঝতে হবে। তারপরও যদি তারা কথা বলতে চায়, বলতে পারে। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না করে। জানা যায়, বিষয় মনোনয়নের সময় সাত কলেজের আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি বলা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়নের পর বলা হয় আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬২টি। প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকার প্রেক্ষিতে এসব আসন পূরণের দাবিতে গত মাসের শেষে শাহবাগে সমাবেশ এবং চলতি মাসের ২ তারিখে নীলক্ষেতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ভর্তিচ্ছুরা।