‘গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, আমাদের গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে— ধর্ম, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এই মুক্তি না আসবে, ততদিন সত্যিকারের মুক্তি আসবে না। তাই বলছি, মুক্তি কত দূর? মুক্তি অনেক দূর। সোমবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত ‘মুক্তি কোন পথে, কতদূর? স্বাধীনতা কতটুকু সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এইটা ৭ই মার্চ পালন করছি না। সেই সময় বিএনপি ছিল না, কল্যাণ পার্টি ছিল না। সেখানে ছিল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, আরও কিছু দল। এই দিন ছিল সেই জাতীয় স্লোগান— এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেই মুক্তি কোথায়? এইটা নিয়ে কি আলোচনা করতে হবে না?’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন এবং আগামীর সরকার কী হবে, কীভাবে হবে। অনিরপেক্ষ পরিবেশে, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই না।’ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দিয়ে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হবে না। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক মুক্তি পাইনি। মানুষের মুক্তির জন্য যারাই আন্দোলনের ডাক দেবে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’ গোলটেবিল আলোচনা সভায় কল্যাণ রাষ্ট্রের মডেল কেমন হবে, সেটির একটি খসড়া প্রস্তাবনা তুলে ধরে কল্যাণ পার্টি। পার্টির পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন পার্টির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মেজর (অব.) বদরুল আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘কল্যাণ রাষ্ট্রের যেসব নাগরিক নিজেদের মৌলিক চাহিদা জোগাড় করতে পারবেন না, তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেসব সুবিধা পাবেন। ভিক্ষুকের সংখ্যা কমবে৷ চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতি, ঘুষ থাকবে না। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমবে। বয়স্করা পেনশন ও ভাতা পাবেন। বেকার ভাতা থাকবে। সবাই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। কেউ গৃহহীন থাকবে না। চিকিৎসার অভাবে কোনও মৃত্যু হবে না। প্রত্যেকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ প্রমুখ।