উপশহর শিশু হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর উপশহর শিশু হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার সময় এক মহিলা চোর নবজাতকটি নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। চুরি হওয়া ৮দিন বয়সী নবজাতক (শিশুপুত্র) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফয়লা গ্রামের মেহেদী হাসান জনি ও আসমা খাতুনের (২২) প্রথম পুত্র। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ বাজারস্থ কিংস হসপিটালে পুত্র সন্তানটির ভূমিষ্ঠ হয়। এরপর ঠাণ্ডা ও মাথায় আঘাতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ওইদিন দুপুরে যশোর উপশহরস্থ শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. তাসমিয়া ২২ দশমিক ১ কেজি ওজন উল্লেখ করে দুপুর সাড়ে ১২টায় নবজাতকটিকে ভর্তি করেন। হাসপাতালের তৃতীয়তলায় জেনারেল ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ১নং বেডে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। ৮দিন বয়সী নবজাতকটিকে চিকিৎসা শেষে গতকাল (রোববার) চিকিৎসক ছাড়পত্র দেন। মেহেদী হাসান জনি ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট ভাড়া করতে যান। মা আসমা খাতুন ও খালা রেহেনা খাতুন ওয়ার্ডের করিডোরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। নানী তাসলিমা বেগম তার নাতীকে বেডে বসে আদর করছিলেন। এ সময় বোরকা পরা বয়স্ক দু’মহিলা হাসপাতালের এসে একজন ৩য়তলায় ওয়ার্ডের প্রবেশ মুখে সেবিকাদের সামনে দাঁড়িয়েছিল। অপর মহিলা ওই বেডের পাশে অবস্থান নেয়। নানী তাসলিমা বেগম নবজাতকটিকে বেডের উপর রেখে বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওই মহিলা নবজাতকটি আদর করতে থাকে। এক পর্যায়ে নবজাতকটিকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই মহিলা তারা ছিল দু’জন। হাসপাতালে আগমন এবং নবজাতকটি চুরি করে পালানোর আগে পূর্ণাঙ্গ চিত্র সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা ওই ভিডিও হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করেছেন। এ ভিডিওর ছবি নিয়ে তারা চোর ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিপন কুমার সাহা বলেন, নবজাতকটি হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় ছবি আছে। ছবি নিয়ে তারা তদন্ত করছেন।