মণিরামপুরে ছাত্র পেটানো মাদ্রাসা শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা গ্রহণের সিদ্ধান্ত

0

স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মণিরামপুরে ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষকের প্রহারে আরিফুল ইসলাম (১৬) নামে এক ছাত্রের চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রমের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ সম্পর্কে শুক্রবার লোকসমাজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পলাতক মাদরাসা শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ তৎপরতা শুরু করেন। নির্যাতনের শিকার আরিফুল ইসলাম বর্তমান ঢাকা ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। আহত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম উপজেলার জোকা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলীর ছোট ছেলে।
উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার হেফজ বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে লেখাপড়ায় একটু অমনোযোগী হয়। এ অপরাধে শিক্ষক হাফিজুর রহমান তাকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। ফলে অরিফুলের চশমার গ্লাস ভেঙ্গে তার বাম চোখের মধ্যে ঢুকে যায়। এতে আরিফুল গুরুতর আহত হলে শিক্ষকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান পালিয়ে যান। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আরিফুলের অভিভাবকরা তাকে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে শুক্রবার লোকসমাজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হল। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের সাথে আলোচনা করেন। তারা একমত হয়ে ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি জানান, আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে মামলা করার জন্যে। আরিফুলের পিতা আইয়ুব আলী জানান, তার ছেলের অবস্থার একটু উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে ফিরে মামলা করবেন।