স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের মো. আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি তার ছেলে হত্যার পুনঃতদন্ত ও বিচার চেয়ে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ বলেন, তার দু’ছেলে মাসুম বিল্লাল ও ইমামুল হোসেন। একই গ্রামের বারিক, রাজিয়া খাতুন, আরিফ পশারী, মোমিন পশারী ও নাসির উদ্দিন তারা ইমামুলকে সাথে নিয়ে বেড়াতো এবং বিভিন্ন কাজ করিয়ে নিতো। ইমামুল নাভারণ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি’র ছাত্র ছিল।
আব্দুল আজিজ বলেন, কিছুদিন বেড়ানোর পর ইমামুল তাদের সঙ্গ ত্যাগ করে। এতে বারিকগং তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। এ নিয়ে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বারিকের স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের সাথে ইমামুল হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক বলে অপবাদ দেয়। এরপর ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাকে ধরে বারিকের বাড়ির ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে পিটিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ করে তারা ইমামুল হোসেনকে হত্যা করে। খবর পেয়ে আব্দুল আজিজসহ পরিবারের লোকজন বারিকের বাড়িতে গেলে তারা জানিয়ে দেয় সে আত্মহত্যা করেছে।
আব্দুল আজিজ বলেন, শার্শা থানার এসআই চন্দ্রকান্ত গাইন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আব্দুল আজিজের বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহকে থানায় ডেকে নিয়ে এসআই চন্দ্রকান্ত গাইন একটি রুমের ভেতর আটকে নানারকম হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আব্দুল আজিজ বলেন, তার ছেলেকে হত্যা করার পর অভিযুক্তরা এবং পুলিশ যোগসাজসে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।এবং অভিযুক্তরা তাকে (আব্দুল আজিজকে) নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি সন্তান হত্যার পুনঃ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।