ইয়াসিন হত্যাকাণ্ড: সন্ত্রাসী সুমনের আস্তানা থেকে ২টি চাকু উদ্ধার, আদালতে ৪ সাক্ষির জবানবন্দি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ায় ইয়াসিন আরাফাত হত্যাকা-ে সন্দেহভাজন অন্যতম আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ী সুমনের আস্তানায় গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ২টি চাকু উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। তবে তাকে আটক করতে পারেনি। অপরদিকে ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলায় রোববার ৪ জন সাক্ষি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন আসামি স্বর্ণকার রানার মামাতোভাই ও আরেকজন হলেন তার সহযোগী। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল ওই ৪ জন সাক্ষির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, ইয়াসিন আরাফাত হত্যাকা-ের সাথে সন্ত্রাসী সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সুমন শংকরপুর মাঠপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে। হত্যাকা-ে যে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি সুমনের সরবরাহ করা। সুমন নাজির শংকরপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাকে ধরতে গত শনিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিলো। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তল্লাশি চালিয়ে ঘর থেকে ২টি চাকু ও পুরুষের একটি কৃত্রিম লিঙ্গ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘরের ভেতর নারীদের সাথে মেলামেশার বহু আলামত দেখতে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ওই ঘরের দরজায় সব সময় তালা ঝুলানো থাকে। পেছন দিকে একটি জানালা ভাঙ্গা। ওই জানালা দিয়ে সুমনসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ঘরের আসা যাওয়া করে থাকেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলায় রোববার ৪ জন সাক্ষি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন, আসামি স্বর্ণকার রানা’র মামাতোভাই শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা জনি, সহযোগী শংকরপুর চোপদারপাড়ার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে বাবু, একই এলাকার খোকনের ছেলে জাহিদুল ও নিহত ইয়াসিন আরাফাতের সঙ্গী একই এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে রিনছান। তিনি আরও জানান, ইয়াসিন আরাফাতকে কোপানোর পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণকার রানা ও রুবেল দুজনই মোবাইল ফোন করেছিলেন বাবুর কাছে। তারা ফোন করে তাকে বলেন,‘ শালাকে কুপিয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখতো মরলো কিনা’। উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শংকরপুর চোপদারপাড়াস্থ ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন ইয়াসিন আরাফাত।