দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১১দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং পণ্যমূল্য কমানোর দাবিতে ১১ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ ছাড়া সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রির দাবিও জানিয়েছে দলটি। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে (মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে), ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে এবং ২ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। ১২ মার্চ বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে হাট-বাজার হাটসভা-পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া ৬ মার্চ ছাত্রদল, ৮ মার্চ যুবদল, ৯ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দল, ১০ মার্চ কৃষক দল, ১৪ মার্চ মহিলা দল ও ১৫ মার্চ তাঁতি দলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পরপর দুইবার করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের মানুষের আয় কমে গেছে। জনগণের একটা অংশ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য চাল-ডাল-তেলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধিতে দেশের মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এ জন্য আমরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির দাবিতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব কর্মসূচিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেবেন। মাঠ পর্যায়ে এসব কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা এসব কর্মসূচিতে যোগ দেন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের যেমন বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই, উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির কারণে দেশ এমন একটা পর্যায় চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০-২৮ ভাগ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটগুলো তৈরি করা হয়েছে তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই সরকারের আমলে কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই।’ গত ২২ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মির্জা ফখরুল। ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে গত ১৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ প্রেরণের দাবিতে জেলা পর্যায়ে বিএনপির যে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি চলছিল তা স্থগিত করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।