সাগরে মাছধরা ট্রলার ডুবি: আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার: এখনও ১০ জেলে নিখোঁজ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মাছধরা ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিন জেলে মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে দুই জনের এবং রোববার রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও অন্তত ১০ জেলে নিখোজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুবলার চরে মাছ আহরণকারী জেলেরা।
শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় আকষ্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দবনের দুবলার শুকটি পল্লী এবং উপকূলীয় এলাকার অন্তত ২১টি ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ১৬টি ট্রলার এবং দেড়শতাধিক জেলেকে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করেন অন্য জেলা। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ অন্তত ১০ জেলে ও ৬টি ট্রলারের সন্ধান মিলছে না।
সোমবার দুপুরে ও রোববার রাতে উদ্ধার হওয়া লাশ দুটি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদল (৫০) এবং একই উপজেলার বগা গ্রামের প্রয়াত সোনাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী বাওয়ালী (২৮)। বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের দুবলা জেলেপল্লী টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায়। নিহতদের মধ্যে ইয়াকুব আলী বাওয়ালীর মরদেহ তার বাড়ি কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ভাইপো ইব্রাহীম আমানি। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের অনেক মানুষই সাগরে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় বগার ৭ জেলে নিখোজ ছিল। এর মধ্যে ইয়াকুব চাচার মরদেহ আমরা পেয়েছি। অন্য ৬ জনের বিষয়ে এখনও কোন খবর আমরা পাইনি। সুন্দরবনের দুবলা জেলেপল্লী টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, দুপুরে আনোয়ার হোসেন বাদলের লাশ উদ্ধার করেছে জেলেরা। বিকেলে আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করার খবর পেয়েছি। তবে ওই জেলের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।#