গাড়ি চালিয়ে খাদে ফেললো আসামি, দুই এসআই নিহত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সোমবার মাদক কারবারি আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নেয়ার সময় দুই এসআই নিহত হন। পরে আসামি পালিয়ে যান, তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোনারগাঁ থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালায় থানা-পুলিশ। তল্লাশির সময় একটি গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেয়ার পর সেটি এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে আলমগীর হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশ। তারা আরও জানায়, তার কাছ থেকে ৪২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এর পর আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় সে গাড়ি চালিয়েছে। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে নিয়ে এবার থানায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে, তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আসামিকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফ দিয়ে নেমে গাড়িটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে চালক আলমগীর পালিয়ে যায়। নোবেল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি এ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখতে পান এ প্রাইভেটকারটি পুকুরে নেমে যাচ্ছে। এ সময় কেউ একজন গাড়ি থেকে বের হয়ে চিৎকার করে বলছে গাড়িতে থানার স্টাফ আছে আপনারা তাদের বাঁচান। চিৎকার শুনে আশপাশের বিপুলসংখ্যক মানুষ এসে উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আসামিকে এখনো ধরা যায়নি। তিনি আরও জানান, আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা পানিতে পড়ে যাওয়ায় কিছু গলে গেছে, বাকিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরিফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্মরত ছিলেন। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এসআই কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানা কোনো মামলা হয়নি।