মণিরামপুরে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত

0

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি সমানতালে অনেক ক্ষেত্রে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলেও নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পায় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, গৃহকর্মীর কাজ ছাড়াও ক্ষেতে খামারে, ভাটায় ইট তৈরি, ইট ভাঙ্গা, কৃষি কাজ, মাটি কাটা, রাস্তায় কাজ করা দালানকোঠা নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্পকলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, ধানের চাতালে নারী শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। এই সব নারী শ্রমিকের বেশির ভাগই সংসারে অভাব অনটনের কারণে অর্ধেক মজুরিতে শ্রম বিক্রি করছেন। এদের অনেকেই রয়েছেন বিধবা কিংম্বা স্বামী পরিত্যক্তা। ফলে জীবিকার তাগিদেই তারা প্রতিদিন কৃষি কাজসহ বিভিন্ন পেশায় আসতে বাধ্য হচ্ছেন। কাউকে আবার কোলের শিশুকে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে আসতে হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজারের হোটেল শ্রমিক তাহেনা বেগম দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে ১৫০টাকা ও তিনবার খাওয়া পাই। পাশাপাশি একজন পুরুষ শ্রমিকের বেতন প্রতিদিন ৪০০টাকা ও তিনবার খাওয়া। চাতাল শ্রমিক আমেনা বেগম জানান, তিনি প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ৩০০টাকা মজুরি পান। এই টাকায় তার বৃদ্ধ মাসহ পরিবারের ৪জনের মুখে আহার জোগাতে হয়। ভাটা শ্রমিক আদরী বেগম জানান, প্রতিদিন ইট তৈরিসহ ইট সাজানোর কাজে তিনি ৪০০টাকা হারে মজুরি পান। এই টাকায় তার অসুস্থ স্বামীর ওষুধ কিনতে ও দুই ছেলের লেখাপড়ার পেছনেই চলে যায়। তারপরও পরিবারপরিজন নিয়ে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে চলছে তার সংসার।