ফের দাম বাড়লো সয়াবিনের, অস্থির চালের বাজার ও কমেছে সবজির দর

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ভোজ্যতেলের দাম এ সপ্তাহে আরও এক দফা বেড়েছে। বেড়েছে গরুর মাংসের দামও। বাড়তি দামে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের বাজার। তবে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমে এসেছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড়বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৮টাকা। সুপার তেলের দামও প্রতি কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা আর পাম তেলের কেজিতে ২টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৬ টাকায়। খুচরা ভোজ্যতেল বিক্রেতা রবি ব্যাণার্জি জানান, পাইকারি বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়তির দিকে।
এদিকে মাংস বিক্রেতা ‘রাজ বিফ হাউস’-এর স্বত্বাধিকারী আব্বাস আলী শুক্রবার জানান, বড়বাজার কাঠেরপুলে প্রতি কেজি গরুর মাংস মানভেদে ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাটে গরুর দাম বেড়ে গেছে। কারণ ঢাকা,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে যশোর জেলার বিভিন্ন হাট থেকে উচ্চমূল্যে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ওইসব জায়গায় গরুর মাংসের চাহিদা বেশি। এ কারণে হাটে গরুর দাম বেড়ে গেছে। আর এর প্রভাবে বাজারে মাংসের দাম বেড়েছে। অপরদিকে আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার পরিবর্তে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বড়বাজার চালবাজারে বাংলামতি চাল মানভেদে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, কাজললতা ৪৪ থেকে ৫৩ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৪ থেকে ৫০ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৪২ টাকা ও স্বর্ণা চাল ৪০ থেকে ৪১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যশোর চাল বাজার সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, বাজারে ধানের দাম বাড়তি থাকায় চালের দাম কমছে না। তিনি আরও জানান,এই পরিস্থিতিতে আগামী বোরো মৌসুমে নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত বাজারে চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তবে বড়বাজারের ‘মণিরামপুর ভা-ার’ এর আড়তদার জহিরুদ্দিন কাজল সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তির কথা জানালেন। তিনি বলেন বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা আবার নতুন করে শীতের ফসল ফলিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করতে নিয়ে আসছেন। সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দামও কিছুটা কমে এসেছে। গতকাল শুক্রবার বড়বাজারে আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, মুলো ২০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কুমড়ো ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।