যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল বদলী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি আল্টিমেটাম

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীদের গোলযোগ মীমাংসার একদিন পার হতে না হতেই বদলির সিদ্ধান্তে কর্মচারীরা ফুঁসে উঠেছে। মঙ্গলবার কাজ ফেলে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্যে তত্ত্বাবধায়ককে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সোমবার হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক কর্মচারী মেহেদী হাসান, দীপসহ ৩ জনকে অন্যত্র বদলি ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দিহানকে অতিরিক্ত ১৫ দিন বেশি ইন্টার্নশিপ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন, কর্মচারীদের নিয়মিত অন্যত্র বদলি করতে হবে। কর্মচারীদের বদলি কার্যকর না করলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এদিকে, বদলি করার সিদ্ধান্ত মানছেন না কর্মচারীরা। তাদের বদলি করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বলে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে কর্মচারীরা জানিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের তিন শতাধিক কর্মচারী কাজ ফেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে হাসপাতালের তত্ত্ববাধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। কর্মচারীরা তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়ে দেন তারা হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী। কর্মচারীরা আগে গোলযোগ করেনি। কিংবা ইন্টার্ন চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেনি। বরং ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মচারীকে আগে মেরেছে। তারপর কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়েছে। কর্মচারীরা তত্ত্বাবধায়ক আরও জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। এক বছরের জন্য হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নিয়ে চলে যাবেন। বেসরকারি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্বার্থে এ বদলির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে দেবে না কর্মচারীরা। তাদের বদলি করা হলে সকল কর্মচারী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। কর্মচারীদের হুঁশিয়ারির জবাবে তত্ত্বাবধায় ডা. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, তাহলে আবার দু’পক্ষকে নিয়ে বসতে হবে। অন্যথায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। হাসপতাাল কর্মচারীদের ১ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।