বাগেরহাটে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত-৩

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের ফকিরহাটে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমখি সংঘর্ষে তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত আরও তিনজন। শনিবার গভীর রাতে খুলনা-মোংলা মহাসডকের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশ রাতেই নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার সকালে নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ আব্দুল্লাহ, আব্দুল গফুর ও সালাহউদ্দীন। নিহতদের মধ্যে আব্দুল্লাহ সদর উপজেলার রনজিতপুর এলাকার হোসাইন এর ছেলে। আব্দুল গফুর এর বাড়ি রামপালের ঝনঝনিয়ায়, এবং সালাহউদ্দীন এর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।


নিহত আব্দুল্লাহ দাওরায় হাদিস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং অপর দুইজন মাদ্রাসার অন্যান্যে শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতরা সবাই মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করছিলেন।নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। একই সাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শিক্ষক ও সহপাঠিদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। রোববার সকাল ১০ টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া হাকিমপুর মুহা. আলীশাহ দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা মাঠে তিন শিক্ষার্থীর জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়।


বাগেরহাট কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার রাত বারোটা দিকে খুলনা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় সিএনজিতে থাকা চালকসহ আরও তিনজন আহত হন। শীতের মধ্য মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকায় পথ পরিষ্কার দেখতে না পাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতরা শনিবার বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর মাদ্রাসার একদল শিক্ষার্থী খুলনায় ইসলামী অনুষ্ঠানে (ওয়াজ মাহফিল) গিয়েছিলেন। তারা সেখান থেকে মাদ্রাসায় ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় পড়ে। নিহতরা বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া হাকিমপুর মুহা. আলীশাহ দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।