১১ দিনে যশোরের তিন থানায় ৪টি “গায়েবি” মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের কোথাও বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী কর্তৃক সহিংস ঘটনা ঘটেনি। অপরাধমূলক কর্মকা-ের জন্য কোথাও কোনো সমবেতও হয়নি লোকজন। তারপরও যশোরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ফের গায়েবি মামলা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মাত্র ১১ দিনে যশোরের তিন থানায় পুলিশ ৩টি গায়েবি মামলা দিয়েছে বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ। এসব মামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, যশোরের ফের গায়েবি মামলা দায়ের শুরু হয়েছে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে। গত ২২ ডিসেম্বর টাউন হল মাঠে বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পর পুলিশের গায়েবি মামলা শুরু হয়। ২৪ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানায় দায়ের করা গায়েবি মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়। এই মামলার বাদী পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর রেজাউল করিম। আগেরদিন রাতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ জন নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে আসে। তাদেরকে ওই গায়েবি মামলার আসামি বানিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর কয়েকদিন পর গত ১ জানুয়ারি ঝিকরগাছা ও অভয়নগর থানায় আরও দুটি গায়েবি দায়ের করে পুলিশ। ঝিকরগাছা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার বাদী ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম। আগের রাতে স্থানীয় ৩ জন নেতাকে আটক করে তাদেরকে গায়েবি মামলার আসামি বানিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভয়নগর থানায় দায়ের করা গায়েবি মামলায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি বানানো হয়েছে। অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান জনি, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আকরাম হোসেন কুরাইশি ও থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ সাথীসহ ১০ জনকে অনরূপভাবে আটক করে ওই গায়েবি মামলার আসামি বানিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এরপর সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারি কোতয়ালি থানায় আরও গায়েবি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। আগেরদিন রাতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৮ জন নেতাকর্মীকে ধরে এনে তাদেরকে গায়েবি মামলার আসামি বানিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রতিটি গায়েবি মামলার কোনো কোনো স্থানে পুলিশের লেখার মধ্যে হুবহু মিল রয়েছে। যেমন ‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী ও দুষ্কৃতকারীরা অন্তর্ঘাত ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডসহ রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য একত্রিত হইয়াছে’। নেতৃবৃন্দ আরও জানান, গায়েবি মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রায় প্রতি রাতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধরতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে। যে কারণে নেতাকর্মীদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।