ঝিনাইদহে খুন দিয়ে বছর শুরু!

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম নির্বাচনী সহিংসতা রোধে পুলিশের কঠোর অবস্থান ও অপরাধীদের কোন রকম ছাড় না দেওয়া ঘোষনা দিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ত্যাগ করার আড়াইঘন্টা পর নির্বাচনী সহিংসতায় জসিম বিশ্বাস (৩৫) নামে আরো একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে শৈলকুপার গাতলাগাড়ি বাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় হারান মন্ডল নামে এক নৌকার সমর্থক নিহত হলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ঘোষনা দেন। তিনি শৈলকুপার কাতলাগাড়ি বাজার এলাকা ত্যাগ করার আড়াই ঘন্টা পর ভাটবাড়িয়া গ্রামে জসিম বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ সময় মিলন নামে আরো একজন আহত হন। নিহত জসিম ভাটবাড়িয়া গ্রামে আব্দুস সাত্তারের ছেলে। জানা গেছে, ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারের আধিপত্য নিয়ে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হারান মন্ডল নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়। হারান মন্ডল খুনের রেশ কাটতে না কাটতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হলো জসিম বিশ^াস নামের আরো এক ব্যক্তি। নিহত জসিমের ভাই মুক্তার হোসেন জানান, তার ভাই জসিম ও মিলন রাস্তায় দাড়িয়ে ছিল। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস মার্কার জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকরা তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জসিম বিশ^াসকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত মিলনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নৌকার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জসিম ও আহত মিলন তার সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় আওয়ামলীগের বিদ্রোগী প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাটবাড়িয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে জসিম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আক্রমনকারীকে পুলিশ আটক করেছে।