প্রশাসনিক বাঁধা উপেক্ষা করে টাউন হল ময়দানে দিনভর সমাবেশ করলো যশোর বিএনপি

0

সুন্দর সাহা॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী “মাদার অব ডেমোক্রেসি” খ্যাত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ সফলে প্রশাসনিক বাঁধা ও সৃষ্ট হরতাল পরিস্থিতি ভেঙেছে যশোর জেলা বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে দলের দু’সহস্রাধিক নেতাকর্মী সকাল পৌনে আটটায় শহরে ঝটিকা মিছিল করে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মাঠ দখল করে। দুপুর দুইটায় অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের এই ময়দান বেলা ৯টার মধ্যেই জনতার দখলে চলে যায় এবং শুরু হয় অনানুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম। ফেসবুক লাইভে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই সকালেই পাড়া-মহল্লার নেতাকর্মীরা দলে দলে মাঠে জড়ো হন। রাতভর পালিয়ে ও জেগে থাকা হাজারো কর্মী মাঠে বসেই বিস্কুটে নাস্তা এবং শুকনো রুটিতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন। নেতাকর্মীদের একইঞ্চি দখল না ছাড়ার এই দৃঢ়তা দেখে প্রশাসনের কোন পর্যায়ের লোকজন আর মাঠেই আসেননি। এমনকি তারা সমাবেশের নিরাপত্তায় যে স্বাভাবিক ডিউটি করে তাও করেননি। দলের নেতাকর্মীরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্দেশনায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। তিনি অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সুশৃঙ্খল সমাবেশ দেখে ব্যপক প্রশংসা করেন। প্রশাসনের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন এটা তাদের কল্পনায় ছিল না।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, এই সমাবেশের জন্য তারা অনুমতি চেয়ে ১৫ডিসেম্বর জেলা ও পুলিশ প্রশাসকে চিঠি দিয়ে বারবার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়েছেন। পৃথক দুটি স্থানের নাম দিয়েও সাড়া পাননি তারা। এদিকে এই সমাবেশ বানচালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সড়কে যন্ত্রচালিত সকল যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশ নানাবিধ অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। ফলে সকালেই হরতাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জনগন তা ভেঙে মাইলকে মাইল হেটে সমাবেশে যোগ দেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঠ দখল করে সমাবেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে পার্শবর্তী উপজেলা, জেলা থেকেও দুর্ভোগ পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। স্বতঃস্ফূর্ত এমন সমাবেশ গত নয় বছরে যশোরে আর হয়নি বলে শহরের সর্বস্তরের মানুষ জানিয়েছেন। তারা এরজন্য জনতার এমপি খ্যাত অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “জননেতা তরিকুল ইসলামের সন্তানের কাছে মানুষ এমন বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে।”