রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত, আট বাসে উত্তেজিত জনতার আগুন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। এসময় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে আটটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিআইটি রোডের রামপুরা কাঁচা বাজারের উল্টোদিক থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়কে উঠতে দেওয়া হয়নি। এসময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগতির অনাবিল পরিবহনের আরেকটি বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই দুর্জয় মারা যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে ৮টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আরও চারটি বাস ভাংচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলছেন, ছেলেটি সড়ক পার হচ্ছিল। এসময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যায় সে।
সূত্র জানায়, নিহতের রক্তাক্ত লাশ সড়কে পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের মানুষ দ্রুত উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর আগে সেদিনই ওই সড়কে ইম্পেরিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে গলাধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেদিন শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল। এই রুটে অনেকগুলো কোম্পানির বাস চলে, চালকদের মধ্যে সবসময় একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চালককে গ্রেফতার এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নিহত মাইনুদ্দিনের বাবা মো. আব্দুর রহমান চায়ের দোকান চালান। পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা তারা। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় সবার ছোট।