বাদ পড়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে মাউশিতে মানববন্ধন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে বিধি মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক পদে নিয়োগকৃতদের এমপিওভুক্তির (বেতন ভাতার সরকারি অংশ) দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। রোববার (২৮ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গেটের সামনে এমপিওভুক্তির তালিকায় বাদ পড়া শিক্ষকদের সংগঠন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আন্তরিকতায় বিধি মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক গত ৭ নভেম্বর এমপিওভুক্তির নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত দিয়ে ৭৭০ জন তৃতীয় শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করে মাউশি। কিন্তু এ তালিকায় এমপিওভুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে নানা ধরনের ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করা হয়। মাউশির অসচেতনতা ও উদাসীনতায় সব ধরনের শর্ত পূরণ থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তির ওই তালিকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তারা বলেন, বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকুরি করা এসব শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে না পারায় চরম হতাশায় রয়েছেন। তারা অনতিবিলম্বে এই ভুলে ভরা অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৭০ জনের তালিকা বাতিল করে বিধি মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিয়োগকৃত সব তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্তির দাবি জানান।
শিক্ষকরা আরও বলেন, মাউশি প্রকাশিত তালিকায় বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে। এ তালিকায় একই শিক্ষকের নাম একাধিকবার প্রকাশ, ইতোপূর্বে সমন্বয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক, ননএমপিও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক, সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তির মতো নানা অসঙ্গতি রয়েছে। ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের সমন্বয়কারী মোছা. বুলবুলি আক্তার ও ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে এই অসঙ্গতিপূর্ণ তালিকা বাতিল করে সংশোধনী তালিকার মাধ্যমে বাদ পড়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষা সচিব ও মাউশি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি। বুলবুলি আক্তার বলেন, আমরা চাই বিধি মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক যেন এমপিওভুক্ত হতে পারেন। দীর্ঘ ৮-১০ বছর বিনা বেতনে চাকুরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছি। পরিবার-পরিজনের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে পারি না। এমপিওভুক্তির তালিকাটি সংশোধনপূর্বক বাদ পড়া শিক্ষকদের তালিকাভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।