কাউন্সিলর সোহেলকে ৯টি গুলি করে ঘাতকরা, পরিস্থিতি থমথমে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলকে (৫০) এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি করেছে ঘাতকরা। আর এতেই মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায় তার। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে তাকে গুলি করা হয়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সোহেলের সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাও (৫৫)। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়াও এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও অন্তত ৬ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের সুজানগর, পাথুরিয়াপাড়া, বউ বাজা ও পাশের সংরাইশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বালু ব্যবসা, মাদক, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ওই কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন। কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে ৯টি গুলি লেগেছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিকেলে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল করে আসা অন্তত ১০ জন কালো মুখোশধারী সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ সোহেল নিজের চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলির আওয়াজে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা সীমান্তবর্তী বউ বাজার এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই দুইজনের মৃত্যু হয়।