করোনা সংক্রমণে রেকর্ড মাত্রা ছাড়ালো জার্মানি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জার্মানিতে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রেকর্ড ৬৫ হাজার ৩৭১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আরো অবনতির দিকে যেতে শুরু করেছে। এদিকে ভ্যাকসিন নেওয়া বা করোনার পরীক্ষা করানো ব্যক্তিদের নিরাপদে রাখতে দেশটির পার্লামেন্টে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তোলা হয়েছে সংবাদ মাধ্যম জানায়, জার্মান পার্লামেন্টে উঠানো প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে যারা টিকা নিয়েছে বা কোভিড পরীক্ষা করেছে কেবল তাদের জন্যই সরকারি বা গণ পরিবহন ব্যবহারের নিয়ম চালু রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার ও ভ্যাকসিন দেওয়ার সার্টিফিকেট প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে রাখা। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জার্মানির সংক্রামক রোগ নির্নয় সংস্থা রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট (আরকেআই) প্রধান লোথার উইলার সতর্ক করে বলেছেন, আক্রান্তের যে সংখ্যা প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে ‘দুই বা তিনগুণ বেশি’ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উইলার বুধবার সন্ধ্যায় স্যাক্সনির রাজ্যের প্রিমিয়ার মাইকেল ক্রেশমারের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। এদিকে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জার্মানির ১৬টি রাজ্যের প্রিমিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল। বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কারণে জার্মানির হাসপাতালগুলির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের অবস্থা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ দেশটির অনেক অঞ্চলের হাসপাতাল ও আইসিইউ ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কারণে এতটা ভরে গেছে যে অন্য জরুরি চিকিৎসা ও অপারেশন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ ইনসিডেন্সের মাত্রা ৩০০ পেরিয়ে গেলে আইসিইউগুলিতে রোগীদের সংখ্যা ৪,৫০০ ছুঁতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে হাসপাতাল সংগঠন৷ স্কুলের অবস্থা নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছে শিক্ষকদের সংগঠন৷ বিশেষ করে ১২ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য এখনো টিকার অনুমোদন না পাওয়ায় স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এছাড়া অনেক রাজ্যের স্কুলে মাস্ক পরার নিয়ম শিথিল করায় সেসব স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বলেও খবর আসছে৷ আরকেআইে-এর তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে টিকা দেওয়ার হার সবচেয়ে কম। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬৭ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণরূপে টিকা গ্রহণ করেছেন৷ এছাড়া ৩৩ শতাংশ নাগরিক ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো সুরক্ষাই গ্রহণ করেনি। সূত্র: ডেয়চে ভেলে/ বিবিসি/সিএনএন।