শৈলকুপায় ভাতা কার্ড থেকে বঞ্চিত চাতালের নারী শ্রমিকরা

0

শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌর এলাকার হাবিবপুর চরপাড়ার চাতালের নারী শ্রমিকরা সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ভাতা কার্ড বঞ্চিত। বছরের পর বছর তাদেরকে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে, এদের মধ্যে অনেকেই বিধবা, বয়স্ক এমনকি অনেকেই ঝুপড়ি ঘরে থাকেন তবুও তারা ভাতা বা এ জাতীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত। অবশ্য সমাজ সেবা অধিদফতর এবং জনপ্রতিনিধিরা এর দায় নিতে রাজি হননি।
জানা যায়, ওই এলাকার চাতাল শ্রমিক মোমেনা খাতুন ১৫ বছর আগেই স্বামী মারা যায় তার। একই এলাকার চাতাল শ্রমিক কোতরি বেগম, স্বামী হারা হয়েছেন ২০ বছর আগে। চাতাল শ্রমিক নুরজাহান বেগমেরও স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। এছাড়া জামেনা, চায়না তারাও দীর্ঘদিন স্বামীহারা হয়ে চাতালে কাজ করছেন। তারা কেউই কখনো বিধবা বা বযস্ক ভাতার কার্ড পাননি। তাদের দাবি, যারা এটি করে দেয় তাদেরকে টাকা দিতে পারেননি তাই কার্ড হয়নি। ফলে সংসার চালাতে তাদেরকে চাতালে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। ধান শুকিয়ে বস্তায় ভরতে পারলে বস্তা প্রতি ১৫ টাকা হারে পান। এদের কেউ কউ আবার চাতাল মালিকের দেওয়া ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। কাজ থাকলে তাদের আয় হয় না থাকলে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। সরকারি ভাতার কার্ড পেলে তাদের জীবন একটু হলেও ভালো থাকতো এটা তাদের বিশ^াস। তারা বলেন, চাতালে কষ্টে দিনযাপন করলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা পান না। ভোট এলেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভোট গেলেই আর খোঁজ থাকে না তাদের।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা পৌর সভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহারুল ইসলাম জানান, পৌরসভা থেকে প্রতিটি এলাকায় ভাতার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। যারাই তার কাছে আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল নিজের টাকা খরচ করে তিনি তাদের অনলাইনে ভাতার কার্ডের জন্যে আবেদন করে দিয়েছিলেন। তার মতে যারা অভিযোগ করছে তাদের দাবি সঠিক নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুদ আহমেদ জানান, মাইকিং করা হয়েছিলো। যারা অনলাইনে আবেদন করেছিলেন যাচাইয়ের পর তারা ভাতার জন্যে মনোনীত হয়েছেন। যদি চাতাল শ্রমিকরা এবার না পেয়ে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।