টিকার নিবন্ধনে ‘ডিজিট জটিলতায়’ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের টিকা পেতে নিবন্ধন জটিলতায় পড়েছেন রাজধানী ঢাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে নিবন্ধন করতে পারলেও ১৬ ডিজিটের পুরোনো সনদধারীরা তা পারছেন না। আইসিটি বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করতে গিয়ে ১৬ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিলে আরও একটি সংখ্যা চাওয়া হচ্ছে। ১৬ ডিজিটের সনদধারী অনেক শিক্ষার্থী টিকা পেতে বারবার চেষ্টা করেও নিবন্ধন করতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে। এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নজরে এনেছেন বিষয়টি। ঢাকা মহানগরের আটটি কেন্দ্রে রোববার (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে করোনা প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মাউশি জানিয়েছে, গত ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরের ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিদিন রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিকাকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিচ্ছেন। তবে সক্ষমতা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে বাড়ানো হবে দৈনিক টিকাদানের সংখ্যা। অনেক শিক্ষার্থীর ১৬ ডিজিটের পুরোনো জন্মনিবন্ধন নম্বর হওয়ায় তারা টিকার নিবন্ধন করতে পারছেন না। তবে ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সফল হচ্ছে। এ কারণে অনেকে বারবার চেষ্টা করেও টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। মিরপুর বাংলা সরকারি স্কুলের ছাত্রী নাদিয়া জানায়, টিকার জন্য গত এক মাস ধরে চেষ্টা করেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। ১৬ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর হওয়ায় সেটি সার্ভারে নিচ্ছে না। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র রায়হান রহমান বলেন, আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে আমার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার আগে সরকারিভাবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণা হলেও আমার ১৬ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি না। বন্ধুদের অনেকে টিকা পেলেও অনেকে আমার মতো সমস্যায় পড়েছে। এ কারণে তারা টিকা নিতে পারছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী সোমবার দুপুরে বলেন, সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে যাদের জন্মনিবন্ধন ১৭ ডিজিটের তারা নিবন্ধন করতে পারছে, ১৬ ডিজিটধারীরা পারছে না। এজন্য আমরা গত ১১ নভেম্বর আইসিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ সমস্যা সমাধানে সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে হবে। গত ১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মহানগরের মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর রাজধানীর হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল ও স্কলাসটিকা স্কুল কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।