নিউ জিল্যান্ডের শক্তি ও দুর্বলতা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০১৫ ও ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের রানার্সআপ। দুইবারের এই ব্যর্থতা নিউ জিল্যান্ড ঘুচিয়েছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ট্রফি জিতে। একই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও হাতছানি তাদের সামনে। তারা কি পারবে সফল হতে? আর দুটি বাধা পেরোতে হবে। ১০ নভেম্বর আবু ধাবিতে হতে যাওয়া সেমিফাইনালেই বদলা নিয়ে ফাইনালের জন্য উজ্জীবিত হতে পারে নিউ জিল্যান্ড। তাদের সামনে পড়েছে ইংল্যান্ড, যাদের কাছে হেরে গেছে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল। নাটকীয় টাইয়ের পর সুপার ওভারও টাই হয়, কিন্তু বাউন্ডারির ‘বিতর্কিত’ হিসাব নিকাশে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালের আগে অনুপ্রাণিত নিউ জিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারের পর ভারতের বিপক্ষে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তারপর একে একে স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে। সেমিফাইনালের আগে নিউ জিল্যান্ডকে স্বস্তি দিচ্ছে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ফর্মে ফেরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের হার না মানা জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েছেন ঠান্ডা মাথায়। ৪২ বলে অপরাজিত ছিলেন এই আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৪০ রানে। মিডল অর্ডারে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপস ও জিমি নিশাম ধারাবাহিক না হলেও প্রয়োজনের সময়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন।
নিউ জিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচ খেলে ভালো শুরু করতে পারেনি একবারও। মার্টিন গাপটিল তাও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩ রান করেছিলেন। কিন্তু ড্যারিল মিচেল হতাশ করছেন বারবার। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই আউট হচ্ছেন এই ওপেনার। তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ওপেনিং হতে পারে নিউ জিল্যান্ডের অন্যতম দুশ্চিন্তার জায়গা। কারণ চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিতে ভালো শুরুর বিকল্প নেই টি-টোয়েন্টিতে। নিউ জিল্যান্ড দলে অলরাউন্ডারের ঘাটতি রয়েছে ভালোভাবে। প্রতিষ্ঠিত অলরাউন্ডার হিসেবে কেবল খেলছেন জিমি নিশাম। ড্যারিল মিচেল অলরাউন্ডার হিসেবে দলে জায়গা পেলেও কখনো বল হাতে নিতে দেখা যায়নি তাকে। কিভাবে নিবেন? বোলিংয়ে যে অস্ত্রের অভাব নেই কিউইদের। ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারেন। বোল্ট পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় শীর্ষ বোলার, সাউদির দখলে ৭ উইকেট। তাদের সঙ্গে ঘূর্ণি জাদুতে ইশ সোধি ভোগাতে পারেন বিপরীত দলকে, এই আসরে নিয়েছেন ৮ উইকেট। যদিও আরেক স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ঠিক সুবিধা করতে পারছেন না। আরেকটি ব্যাপার নিউ জিল্যান্ডকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। স্পিনে যে দুর্বলতা সুপার টুয়েলভের প্রথম চার ম্যাচে দেখা গিয়েছিল, সেটা যে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে তার প্রমাণ মিলেছে মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের ভয়ঙ্কর স্পিনের বিরুদ্ধে সাফল্য দেখিয়ে। সময় গড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসরে বেশ পরিণত নিউ জিল্যান্ড। এবার প্রথম ফাইনালে যাওয়ার মিশন।