খুলনায় দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আন্তঃজেলায় চলছে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় সারাদেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গন্তব্যে যেতে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। অনেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় যেতে না পেরে বাড়ি ফিরছেন বাসস্ট্যান্ড থেকে। কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে যানবাহনের দেখা পাচ্ছেন না। ডিজেলের বর্ধিত দাম কমানো বা ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে শুরু হওয়া এ পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন শনিবারও (৬ নভেম্বর) খুলনা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে দিনের শুরুতেই আন্তঃজেলা সড়কে কিছু বাস (লোকাল) চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঘরছাড়া যাত্রীরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ধর্মঘটের কারণে সময়মতো গাড়ি পাচ্ছেন না তারা, পেলেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। এদিকে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তিন চাকা ও দুই চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে দেশের প্রায় সব সড়ক-মহাসড়কে। তবে পরিবহন বন্ধ থাকলেও সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। বিশেষত অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনরা ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে সকালে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, এদিন দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। আন্তঃজেলা রুটে বিশেষ করে খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-দাকোপ, খুলনা-কয়রা, খুলনা-ডুমুরিয়া রুটে কিছু কিছু বাস ছেড়ে গেছে। সাতরাস্তা মোড়ে দিদার পরিবহন কাউন্টারের বুকিং সহকারী ইলিয়াস হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার কোনো বাসই ছাড়ছে না। তবে আন্তঃজেলায় কিছু রুটে বাস চলাচল করছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা।