দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে খুলনায় বেড়েছে ভোগান্তি, কাঁচা বাজারে পণ্য সংকট

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশের মতো খুলনায়ও দ্বিতীয় দিন চলছে পরিবহন ধর্মঘট। ফলে বন্ধ রয়েছে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংক লরিসহ পণ্যবাহী পরিবহন। এতে যাত্রীদের দূর্ভোগ ও অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া ট্রাক বন্ধ থাকায় নগরীর কাঁচা বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম।
শনিবার সকাল থেকে সোনাডাঙ্গা টার্মিনাল, রয়েল মোড় ও রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য যাত্রীরা সকাল থেকেই বাস টার্মিনালে ভিড় করেন। ধর্মঘটের ফলে বাস না পেয়ে অনেকেই আবার বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এজন্য তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তিভাড়া। খুলনা থেকে তুলনামূলক কম দূরত্বে যাওয়া যাত্রীদের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে এসব বাহনে। দূরপাল্লার মধ্যে যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, রাজশাহী, চিলাহাটী, পার্বতীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোয়ালন্দঘাট ও বেনাপোল রুটে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা ট্রেন। ফলে যাত্রীরা রেল স্টেশনে ভিড় করছেন।
নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ইজিবাইক যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, ফুলবাড়িগেট যেতে হবে। যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে বেশি ভাড়া চাচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই। বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হবে। শরিফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, জরুরি একটি কাজে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া থেকে খুলনায় এসেছিলাম। এখান ফিরে যাব, সেই পথ নেই। সোনাডাঙ্গা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কী করব, বুঝতে পারছি না।খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ সরকার বলেন, যাত্রীদের চাপ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। লোকাল ট্রেনগুলোতে যাত্রী বেশি হচ্ছে।’ এদিকে পরিবহন ধর্মঘট থাকায় আজও খুলনায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোনো পণ্য আসেনি। শহরের আশেপাশের উপজেলা থেকে ইজিবাইক ও ভ্যানযোগে কিছু সবজি তরকারি এলেও তাতে চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। ফলে বাড়ছে দাম। নগরীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সাথে মাছের দামও চড়া হয়ে উঠেছে। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বাড়বে। বাস চালালে লোকসান হবে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।