বাঘারপাড়ায় হামলায় জহুরপুর ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদর মোল্লাসহ ৪ জন আহত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল সকালে যশোরের বাঘারপাড়ার জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বদর উদ্দিন মোল্লা ও তার ভাই তাঁতিলীগ নেতা মুন্নু মোল্লাসহ ৪ জন হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে তাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করা হয় এসময়। বিদ্রোহী প্রার্থী বদর উদ্দিন মোল্লা তাদের ওপর হামলার জন্য নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিন্টু ও তার অনুসারী দিলু পাটোয়ারীকে দায়ী করেছেন। কিন্তু নৌকার প্রার্থী জহুরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু হামলার ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছেন। অপরদিকে বাঘারপাড়ার থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এজাহার দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বদর উদ্দিন মোল্লা জানান, তিনি জহুরপুর ইউনিয়নে ইতোপূর্বে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। এ কারণে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নরসিংহপুর গ্রামের তার বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন মনোনয়নপত্র জমা দিতে। সাথে ছিলেন তার ছেলে আসিফ ইকবাল লোটাস, ভাই জহুরপুর ইউনিয়ন তাঁতিলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্নু মোল্লা এবং কর্মী হলিহট্ট গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব। যাওয়ার পথে সকাল পৌনে ১১টার দিকে হলিহট্ট গ্রামে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী তার মাইক্রোবাস ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে হামলা চালায়। তারা তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। তার ভাই মুন্নু মোল্লা, ছেলে আসিফ ইকবাল লোটাস ও কর্মী মাহাবুবকেও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। হামলায় তারা সকলেই গুরুতর আহত হন। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্রসহ সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার ১০ মিনিট পর কোনোমতে সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন এবং যশোরে হাসপাতালে ভর্তি হন। হামলার জন্য বদর উদ্দিন মোল্লা নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিন্টু ও জহুরপুরের সাবেক চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারীকে দায়ী করে বলেন, হামলাকারীরা সকলে তাদের লোক। নির্বাচনে যাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন সে কারণে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, হামলাকারীদের কয়েকজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এরা হলেন, হলিহট্ট গ্রামের জসিম, মাসুদ, রশিদ, জাহাঙ্গীর প্রমুখ। এদের মধ্যে জসিম লোহার রড দিয়ে তার পায়ে আঘাত করে। অভিযোগ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, তারা (বদর উদ্দিন মোল্লা) নিজেরাই মারামারি করেছেন। আর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। বাঘারপাড়া থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ উদ্দিন জানান, বদর উদ্দিন মোল্লার ওপর হামলার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সত্যতা পেয়েছেন। পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন। এ সময় বদর উদ্দিন মোল্লা তার ওপর হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের নাম বলেছেন। তিনি আরো বলেন, হামলার ঘটনায় বদর উদ্দিন মোল্লা থানায় এজাহার দিলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।