পরিত্যক্ত ভবনে চলছে ক্লাস

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রেণিকক্ষ সংকটের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে স্কুলটির কার্যক্রম। তাই বাধ্য হয়েই পাশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি টিনশেড ভবনের জরাজীর্ণ দুটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯০১ সালে। জাতীয়করণ হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে তিন কক্ষ বিশিষ্ট ওই বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৬২ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
জানা গেছে, শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে পাশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ন পরিত্যক্ত দুটি কক্ষে ক্লাস সরিয়ে নেন শিক্ষকরা। ভাঙ্গাচোরা টিনের দোচালা ঘরে জং ধরেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পানি গড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এমন পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টিনশেড ভবনে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এখানে সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। ফলে বই-খাতাসহ শিক্ষার্থীরা ভিজে যায়। বাধ্য হয়েই মাঝে মধ্যে ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, বাধ্য হয়ে স্কুলের পাশে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই কক্ষের টিনের ছাউনির জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন রকমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, ২০১৮ সালে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। আমি আসার আগেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে ক্লাস করছে। বৃষ্টির সময় ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে পরানখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ টিনের ছাউনির একটি পরিত্যক্ত ভবনে কোন রকম ক্লাস নিচ্ছি। এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান বলেন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জেলার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩টি নতুন ভবন ও দুইটি ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য জেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তালিকায় ওই বিদ্যালয়টি রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের সমস্যা কেটে যাবে।