খুলনায় গাঁজাসহ আটক রেলকর্মী সুজন এখনও চাকরিতে বহাল!

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ খুলনায় প্রায় এক কেজি গাঁজাসহ আটক রেলওয়ের নিরাপত্তা শাখার সিপাহী মো. নুরুজ্জামান খান সুজনের বিরুদ্ধে ঘটনার চারদিন পরেও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে ঘটনার দিন থেকে তাকে সাসপেন্ড করাসহ অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রেলস্টেশন সংলগ্ন জবেদের হোটেলের সামনে থেকে নুরুজ্জামান খানকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৮৫০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।
সূত্র জানায়, এই প্রথম রেলের নিরাপত্তা শাখার কোন কর্মী মাদকসহ আটক হলো। এ নিয়ে চরমভাবে বিব্রত বিভাগের অন্য সহকর্মীরা। সূত্রের অভিযোগ, রেলস্টেশন সংলগ্ন কলোনী ও একাধিক বস্তি নানা ধরনের অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু। গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ সবধরনের মাদকের ছড়াছড়ি এখানে। ভারত থেকে চোরাই পথে আসা অবৈধ মালামালও এখানে খালাস হয়। স্থানীয় একটি যুব সংঘকে সামনে রেখে শক্তিশালী চক্র প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদক ও ভারতীয় পণ্য কেনাবেচা করে। মূলত বেনাপোল থেকে খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে মাদকের চালানগুলো খুলনায় আসে। আর এই চালান নিয়ন্ত্রণ করে বেনাপোলে কর্মরত রেলওয়ের একজন কর্মী।
রেলের নিরাপত্তা বিভাগের চিফ ইন্সপেক্টর মুনীর হোসেন রাহাত বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকসমাজকে জানান, মাদকসহ আটক সুজন ১৫ অক্টোবর থেকে ৫ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটিতে থাকা অবস্থায় ১৭ তারিখ রাতে তিনি আটক হন। ১৯ তারিখ তার ছুটি শেষ হয়েছে। ঘটনা জানিয়ে তিনি পাকশী হেড অফিসে চিঠি দিয়েছেন। ডিবির ওসির কাছে মামলার নথি চেয়েছি। নথি পেলে এবং পাকশী থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পাওয়া মাত্র সুজনকে ১৭ তারিখ থেকে সাসপেন্ড করা হবে। এছাড়া মামলায় সাজা হলে বিভাগীয় সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হবে। রেলের নিরাপত্তা শাখায় চাকররিত সুজনের আপন ভাই রাহাদুজ্জামান খান লিখন বলেন, তার ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন রেলস্টেশন থেকে পুরানো রেলস্টেশনে আসার পথে কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ তাকে আটক করেছে। রেল শ্রমিক লীগের সভাপতির সাথে তাদের বিরোধ আছে। তিনিই এ কাজ করিয়েছেন বলে মনে করেন লিখন। ভাই আটক হলেও সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তিনি পাশে দাঁড়াতে পারছেন না বলেন জানান। তিনি বলেন, প্রভাতী যুব সংঘ রেলে কর্মরতদের একটি সামাজিক সংগঠন। এর মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চলে। সংঘের সভাপতি লিটু সুলতানের পোস্টিং বেনাপোলে। তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ অপবাদ দিচ্ছে বলে দাবি তার।