শার্শার পাঁচভুলোটে বিজিবি সদস্যসহ দুই জনের হত্যা মামলায় চার্জশিট, অভিযুক্ত ৪

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের র্শাশার পাঁচভুলোট সীমান্তে বিজিবি ও চোরাকারবীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে বিজিবি সদস্য আকমল ও সন্ত্রাসী সুজন হত্যা ও বোমা হামলা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুই জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্তকর্তা পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান। অভিযুক্তরা হলো শার্শার কাগমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শিমুল হোসেন ওরফে শিমুল আক্তার, মুছা করিমের ছেলে আশিক হোসেন ওরফে আশিকুর, রুহুল আমিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আবু বক্কার সিদ্দিক ও অগ্রভুলোট গ্রামের মৃত মজুম গাজীর ছেলে শাহ আলম গাজী। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় ২১ বিজিবি পুটখালীর একটি দল নিয়মিত টহলের উদ্দেশে পাঁচভুলোট গ্রামের ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। এসময় পূর্বদিক থেকে ৪ জন লোক দুইটি ব্যাগ হাতে ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবির দলটি। এসময় ওই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বোমাসহ একটি ব্যাগ টহল দলের মধ্যে ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ব্যাগে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে বিজিবি সদস্য আকমল হোসেন গুরুতর আহত হয়। এসময় ধাওয়া করে দুই জনকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আটক ব্যক্তিদের নিয়ে অগ্রভুলোট গ্রামের অজিত মোড়লের আমবাগানে বিজিবি ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এসময় চোরাকারবারীরা বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ও বোম হামলা শুরু করে আটক আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। বিজিবি ও পুলিশ পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার সময় আটকদের মধ্যে সুজন নামে এক জন গুলিবিদ্ধ হয়। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর সুজন মারা যায়। এবং ২৯ জুলাই বিজিবি সদস্য আকমল হোসেন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। এর আগে ২৭ জুলাই বিজিবির সুবেদার মুন্সি লাবলুর রহমান বাদী হয়ে আটক আসামিসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যা ও বোম হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটক সিরাজুল ইসলাম গাজী ও সাইদুল ইসলাম ঝন্টুর অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।