মেট্রোরেলের পঞ্চম চালান মোংলা বন্দরে

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ পঞ্চম চালানে মেট্রোরেলের ৮টি বগি ও ৪টি ইঞ্জিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (২ অক্টোবর) সকালে মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে বগি ও ইঞ্জিন নিয়ে নোঙর করে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি এসপিএম ব্যাংকক। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে জাহাজ থেকে বগি ও ইঞ্জিন খালাস শেষ হবে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর গত ১৪ সেপ্টম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে জাহাজটি ছেড়ে আসে। জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও আরও ৩২টি প্যাকেজের সরাঞ্জম এসেছে বলে জানিয়েছেন ‘এসপিএম ব্যাংক’ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট ষ্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মূসা জানান, দ্রুতই ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি খালাস শেষ হবে। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক বছরে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। আশাকরি ভবিষ্যতে সরকার মোংলাবন্দরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল আনা নেওয়া করবে। তিনি আরো জানান, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইনারবার ড্রেজিংসহ অনেক কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। থাকবে চারটি করে কোচ। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। মেট্রোরেলের প্রথম চালান চলতি বছরের ৩১ মার্চ বিকেলে মোংলা বন্দরে আসে। ওই চালানে ছয়টি বগি জাপান থেকে দেশে আনা হয়।