বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব মনিরামপুরে

0

মজনুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন মোড়, অলি-গলি, রাস্তায় দল বেঁধে উৎপাত করছে এসব বেওয়ারিশ কুকুর। এতে পৌরবাসীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে অভিভাবকদের। তবে, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পৌর শহরের দোলখোলা মোড়ে দেখা যায় অন্তক ২৫টি কুকুর দলবদ্ধভাবে রাস্তার মাঝে জটলা করে ঘেউ ঘেউ করছে। এ সময় হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হতে পারছেন না কুকুরের ভয়ে। এক পর্যায়ে তিনি তটস্থ হয়ে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাস্তার পাশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। আবার ব্যবসায়ী আবদুল হাই চায়ের দোকানে ঢুকতে পারছেন না কুকুর দলের কারণে। শুধু তাই নয়, রাস্তায় লোকজনদের আসতে দেখলেই কুকুরের দল তার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু দোলখোলা মোড়ে নয়, দলবদ্ধ কুকুরের উপদ্রব লক্ষ্য করা যায় মনিরামপুরের রাজগঞ্জ মোড়, জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের পাশে, জনতা ব্যাংক মার্কেট, মাছবাজার, মাংস বাজার, গরুহাট মোড়, থানা মোড়, দুর্গাপুর মোড়, পাবলিক লাইব্রেরি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে। এ ব্যাপারে মনিরামপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক সাজেদুর রহমান লিটু বলেন, দলবদ্ধ কুকুরের কারণে তার মেয়েটি স্কুলে একা যেতে ভয় পায়। ফলে তাকে মোটরসাইকেলে করে স্কুলে আনা নেয়া করতে হচ্ছে। থানা মোড়ের নাঈম ড্রাগ হাউজের মালিক কামরুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যার সময় দলবদ্ধ কুকুরের উৎপাতে দোকানে বসা কঠিন হয়ে পড়েছে। মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, রাতে কুকুরের ভয়ে রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়া দুরুহ হয়ে পড়ে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ব্যাপারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কি কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না? মনিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি তুলসি বসু বলেন, কুকুরের উৎপাতে দোকানদারি করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সদর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, কুকুরের উপদ্রবের বিষয়টি তার নজরে এসেছে। শ্রীঘ্রই পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, কুকুর নিধনের (হত্যা) ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে আইন মেনে কুকুর নিধনের জন্য খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।