সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না : কাদের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। ভারত সরকার এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে আশা করি। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সাথে হাত মেলায় তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না।
বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। তিনি বলেন, বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতার ফেনা তুললেও ভারতের সাথে নতজানু অবস্থান নিয়েছিলো, যা তাদের সময়কালে দেশবাসী দেখেছে। শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহুবছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোন সমস্যার সমাধানতো করতে পারেই নি, বরং প্রতিবেশী দেশের সাথে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের অভিনন্দন জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবন যাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন শেখ রেহানা। তিনি বলেন, চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন শেখ রেহেনা। শেখ রেহেনার সন্তানরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন। টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বৃটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ রেহেনার ত্যাগ এবং অনুপ্রেরণায় শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বলেন, শেখ রেহেনার বড় ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠ কন্যা আজমিকা সিদ্দিক রুপন্তি লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক অ‌্যানালাইজার হিসেবে কাজ করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহেনাও সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে। তিনি বলেন, প্রচারবিমুখ শেখ রেহেনা কখনো লাইম লাইটে আসেন না। দেশ, জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন।