যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মেশিন আছে, নেই সচলের উপকরণ অব্যবহৃত ল্যাপ্রোস্কাপিক

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিন আছে, কিন্তু চালানোর জন্যে আনুসঙ্গিক উপকরণ নেই। ফলে, মাসের পর মাস দু’টি মেশিন পড়ে রয়েছে। ব্যবহারের অভাবে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ রোগীরা এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন, ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিনের সাহায্যে গলব্লাডার, বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হয়। পেট না কেটে উন্নত পদ্ধতিতে রোগীর চিকিৎসা দেয়া যায়। এ পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে শত শত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন। কিন্তু যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এসে দরিদ্র শ্রেণির লোকজন ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিনে চিকিৎসা পাচ্ছে না। অথচ, একটা নয়, দু’টি ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিন রয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাভুক্ত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।
গত ৬ মাস ধরে অত্যাধুনিক এ মেশিন দু’টি ব্যবহারের অভাবে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ভেতর তা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে মেশিন দু’টি এভাবে পড়ে থাকলেও চালু করার কোন উদ্যোগ নেই। ফলে, মেশিন দু’টি পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অতি মূল্যবান এ মেশিন দু’টি সচল না থাকার কারণে গরিব অসহায় রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
চিকিৎসা নিতে না পেরে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রোগের যন্ত্রণা শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে যে ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিন রয়েছে কিছু উপকরণ লাগালেই তা চালু করা সম্ভব। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবে লাখ লাখ টাকা মূল্যের মেশিন সচল করা হয়নি। মেশিন চালু করার জন্য যে আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি (উপকরণ) প্রয়োজন তা যোগান দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিনের জন্য ঢাকায় লিখেছি। হয়তো এক মাসের মধ্যে নতুন একটি ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিন আসবে। তখন সহ ঠিক হয়ে যাবে।