বাগেরহাটে ব্যাংক কর্মকর্তার জমি ও বাড়ি দখল চেষ্টার অভিযোগ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের চিতলমারীর খড়মখালী গ্রামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা হরিদাস মজুমদারের জমি ও বসত ঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হরিসভা আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নিজের ক্রয়কৃত জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করার জন্য বিভিন্ন দফতরের ধর্ণা দিতে হচ্ছে তাকে। আশ্রম কর্তৃপক্ষ বলছে, আশ্রমের পক্ষে মামলার রায় হয়েছে, এই জমির প্রকৃত মালিক আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক কর্মকর্তা হরিদাস মজুমদার জানান, ১৯৮৯ ও ৯১ সালে চিতলমারী র খড়মখালী মৌজায় দূর্গা মন্দিরের সামনে সূর্যকান্ত চক্রবর্তী, প্রফুল¬ বৈরাগী, বিজেন ও বিধানের কাছ থেকে ৪টি দলিলে ২১ শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে টিনসেড ঘর তৈরি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। চাকরির সুবাদে এবং একমাত্র সন্তানের পড়াশুনার জন্য বসতবাড়ি ফেলে রেখে শহরে ভাড়া থাকতেন। এই সুযোগে আশ্রম কর্তৃপক্ষ বসত ঘরের কাঠের বেড়া ও বিভিন্ন মালামাল খুলে নিয়ে গেছে। এরপরে তাদেরকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাকে স্ত্রীসহ মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে অঅশ্রম কর্তৃপক্ষ এমন দাবিও করেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা। স্থানীয় প্রেমদাস মন্ডল, আবু হোসেন লাল কাজী, এমদাদুল, দিবাকর মুখার্জী, প্রসেন্জিত ভট্টাচার্য, গোলক চন্দ্র মন্ডলসহ কয়েকজন জানান হরিদাস মজুমদার এই জমিতে ঘর তৈরি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সূর্যকান্ত মন্ডল বলেন, এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে হরিদাস মজুমদার বসবাস করেছেন। এখন আশ্রম কর্তৃপক্ষের এই দাবি অন্যায় ও অযৌক্তিক। হরিদাস মজুমদারের অভিযোগ অস্বীকার করে আশ্রমের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, হরিদাস মজুমদার যাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন, তারা আগেই আশ্রম কর্তৃপক্ষকে এই জমি দান করে দিয়েছেন। এই জমি নিয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলায় আশ্রমের পক্ষে রায় পেয়েছি। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। বিবাদমান জমিতে যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা একাধিকবার শালিস মিমাংসার জন্য বসেছি। কিন্ত কোনো পক্ষই কারো কথা শোনে না।