যশোরে বগুড়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সালাম সেলিমের (৫৫) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন মনিরার দাবি অনুযায়ী তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সকালে যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিমান অফিস মোড়ে ভাড়াবাসায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুস সালাম সেলিমের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওদাগাঁয়। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডালিম মেম্বরের বড় ভাই ডা. আব্দুস সালাম সেলিম। পুরাতন কসবা বিমান অফিস মোড়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন মনিরা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ৮টার দিকে সকলের অগোচরে তৃতীয়তলায় নিজ ঘরের ব্যালকুনিতে গলায় ফাঁস দেন ডা. আব্দুস সালাম সেলিম। এ অবস্থায় তিনি তাকে উদ্ধার করেন এবং যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সকাল ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সোহাগ তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ময়না তদন্তের জন্যে লাশ মর্গে পাঠান।
হাফিজা খাতুন মনিরা যশোর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ডা. মো. আব্দুস সালাম সেলিম কুষ্টিয়া হাসপাতালে ছিলেন। সেখান থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে মাস তিনেক আগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। সেখানে যাওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে বিচলিত হয়ে পড়েন। ডা. আব্দুস সালাম ঘরের ব্যালকুনিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গতকাল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে লাশ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, ডা. মো. আব্দুস সালাম ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত হাসপাতালে যান এবং শোকাহত স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, আলী হোসেন মদন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল আলম উপল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাপ্পীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। এরপর বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসান ইমামের পিতা আবু সাইদকে দেখতে যান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং আশু সুস্থতা কামনা করেন।