বিএনপির অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখা যাবে না: মির্জা আব্বাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির অগ্রযাত্রা কোনো পরিস্থিতিতে আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা আব্বাস। শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একদিন ইনশাল্লাহ গুলির আওয়াজ থাকবে না, পিস্তলও থাকবে না। জনগণের চাপের মুখে এ সরকারের পতন ঘটতেই হবে। যে দলে বাবুদের (শফিউল বারী বাবু) মতো কর্মী আছে, যে দলে বাবুদের মতো নেতা আছে, যে দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যে দলের নেতা তারেক রহমান সেই দলকে কোনো পরিস্থিতিতে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, যোগ্য নেতাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে পারলে ইনশাল্লাহ এ দল আবারও সুদৃঢ় হয়ে উঠবে এবং এ সরকারের বিপক্ষে আমরা লড়তে পারব। করোনা পরিস্থিতি সরকারের জন্য শাপেবর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এ পরিস্থিতির কথা বলে সরকার আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘করোনা সংক্রমণ নিয়েও এ সরকার খেলাধুলা করছে, দেশের মানুষকে নিয়ে খেলাধুলা করছে। আমাদের কথা বলার অধিকার নেই, রাস্তায় চলাফেরার অধিকার নেই। আজ আমাদের দলের এক নেতা ইসহাক সরকার মুক্তি পেয়েছেন তিন বছর পর। কী দোষ ছিল তার, তিনি শুধু রাজনীতি করতেন! দলের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যারা জেলে যাননি। এবারো আমরা জেলে যাব, আবার যখন আমরা মুক্তি পাব তখন পুরো দেশকে মুক্ত করে আমরা মুক্ত হবো ইনশাল্লাহ।’ স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ সরকার দুর্গতির চরম সীমায় পড়ে গেছে। সেই কারণেই বলছি, আমরা যে যেখানে থাকি না কেন আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াটুকু আপাতত বন্ধ রেখে আমরা যদি নেতৃত্বের নির্দেশগুলো সাহসের সঙ্গে রাজপথে দৃশ্যমান করতে পারি তাহলে এ সরকার বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে না। এ সরকার কিন্তু যাবে, আপনারা আন্দোলন করেন আর না করেন।’ তিনি বলেন, ‘এখন বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হটানোর যে স্বীকৃতি জনগণের কাছে আছে আপনারা চান সেটা কি-না? যদি চান তাহলে দায়িত্বশীল দল হিসেবে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একাত্মতাবোধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দেন, সরকার পড়ে যাবে।’ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়। সভায় শফিউল বারী বাবুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতারা। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।