নিউ জিল্যান্ডকেও সর্বোচ্চ সেবা দিবে বিসিবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২৪ ঘণ্টা আগে-পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দুই স্বস্তির খবর। ইংল্যান্ড সিরিজ স্থগিত করার যে খবর দ্য টেলিগ্রাফ দিয়েছিল তা সত্যি হলেও নতুন সূচি প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের পরিবর্তে ২০২৩ সালের মার্চে আসবেন ইংলিশরা। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মিলেছে এ স্বস্তির খবর। বুধবার (৪ আগস্ট) চূড়ান্ত হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর সূচি। পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে ২৪ আগস্ট আসবেন কিউই ক্রিকেটাররা। ১ সেপ্টেম্বর দুই দলের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ হবে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর।
কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সফরই যে স্বস্তি ও সাধুবাদ পাওয়ার মতো তা বোঝা গেল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরর কণ্ঠে, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে সিরিজ আয়োজন করা বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। আমরা সেই কাজটা করতে পারছি, এটা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার মতো। স্বস্তির খবর যে নিউ জিল্যান্ড আমাদের এখানে আসছে।’
মহামারির এ সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করা মানেই কোয়ারেন্টাইনে থাকা। বল মাঠে গড়ানোর আগে বায়ো-বাবল তৈরি করা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বিসিবি যে বায়ো-বাবল তৈরি করেছে, তা ক্রিকেট বিশ্বে অনন্য নজির হয়ে থাকবে। সিরিজ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে ১০ দিন আগে। খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্ট বাদে সেই তালিকাটা দেড়শজনে গিয়ে ঠিকেছে। ছিল আরো কড়াকড়ি। দুই দলের খেলোয়াড়রা একই হোটেলে থাকলেও সংস্পর্শে আসছেন না। খেলার পর হাত মেলানো নিষেধ, খেলা চলাকালে ড্রেসিংরুমে পানি বাদে কোনো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না, গ্যালারিতে বল গেলেই নতুন বলে খেলাসহ আরো কত নিয়মকানুন। নিউ জিল্যান্ড সিরিজেও কি এমন কিছু হবে? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বায়ো-বাবলের তত্ত্বাবধায়ক দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে।
তিনি বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ড সিরিজ নিয়ে এখনো আমাদের আলোচনা হয়নি। ৮ আগস্ট আমাদের একটি বৈঠক আছে। নিউ জিল্যান্ডের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সেখানে সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সব শর্ত পূরণ করে বিসিবি সিরিজ আয়োজন করেছে। এখন পর্যন্ত তাদের আয়োজনে খুশি অজিরা। যদি নিউ জিল্যান্ড এমন কিছু শর্তও দেয়, বিসিবি মেনে নেবে নিঃসঙ্কোচে। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অনেক শর্ত ছিল। বিসিবিও সেগুলো পূরণ করেছে। করোনাকালে সিরিজটি আয়োজন করা জরুরি ছিল। আমরা সফলভাবে শেষ করতে পারলে ভালো। নিউ জিল্যান্ডকেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারব। বিসিবি কখনো অতিথি দলকে সুবিধা দিতে কাপর্ণ্য করে না।’
বাংলাদেশ এ বছরই নিউ জিল্যান্ড সফর করেছিল। ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন শেষে বাংলাদেশ মাঠে প্রস্তুতিতে নামে। তবে জানা গেছে, নিউ জিল্যান্ডকে তিন দিনের বেশি কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। এরপর প্রস্তুতিতে নামবেন। ২৯ আগস্ট বিকেএসপিতে তারা একটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবেন। এরপর মূল মঞ্চে শুরু হবে আসল লড়াই।