ফাইনালে স্পেনকেই পেলো ব্রাজিল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিক- এতবড় বিশ্ব আসরের ফাইনালটা জমজমাট না হলেই যেন জমে না। গত অলিম্পিকের ফাইনাল ছিল ব্রাজিল এবং জার্মানির মধ্যে। এবার ব্রাজিল মেক্সিকোকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আগেই ফাইনালে আসন নিশ্চিত করে রেখেছিল। এর ঠিক তিন ঘণ্টা পর অন্য দলটিও নির্ধারণ হয়ে গেলো। স্বাগতিক জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটে নিলো স্পেন।
ব্রাজিল এবং স্পেন ফাইনাল। অলিম্পিকের মত দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ফুটবল ইভেন্টের ফাইনালে এমন দুটি দলেরই প্রয়োজন ছিল। আকর্ষণটা তাই ফাইনাল পর্যন্তই ধরে রাখলো অলিম্পিক গেমস। অলিম্পিক গেমস শেষ হওয়ার আগেরদিন, ৭ আগস্ট ইয়োকোহামার ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোনার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে ব্রাজিল এবং স্পেন। তার একদিন আগে, ৬ আগস্ট ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে মেক্সিকো এবং স্বাগতিক জাপান।
ফাইনালে উঠলেও স্পেনকে বেশ ঘাম ঝরিয়েই জিততে হয়েছে। স্বাগতিক জাপান ছেড়ে কথা বলেনি স্প্যানিশদের। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ছিল গোলশূন্য ড্র। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেই বাজিমাত করেন স্পেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মার্কো আসেনসিও।
পুরো ম্যাচেই অসাধারণ ফুটবল খেলেছে জাপান। দারুণ উদ্ভাবনী ফুটবল উপহার দিয়েছিল জাপানিরা। কখনো কখনো স্প্যানিশদের মুহূমুহু আক্রমণ দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছিল তারা। ম্যাচটাকে টাইব্রেকারের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫ মিনিট দুরে থাকতেই রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার মার্কো আসেনসিও সর্বনাশটা ঘটিয়ে দেন জাপানের।
প্রথমার্ধেই আসলে এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন। ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা পেরুভিয়ান রেফারি কেভিন ওর্তেগা পেনাল্টি উপহার দেন স্পেনকে। মায়া ইয়োশিদার চ্যালেঞ্জের কারণে বক্সের মধ্যেই পড়ে যান মাইকেল মেরিনো। যে কারণে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্তু পরে ভিএআর দেখে নিশ্চিত হওয়া গেলো, যে অপরাধ হয়েছে তার জন্য পেনাল্টি দেয়া যায় না।
পেনাল্টি বাতিল হওয়ার ফলে দু’দলের সামনেই সমান সুযোগ চলে আসে। দ্বিতীয়ার্ধেও দু’দল ওপেন নেট খেলা শুরু করে বলতে গেলে। কিন্তু বল মাঠেই ঘুর-পাক খেয়েছে, কোনো পক্ষেই জালে জড়ানোর সুযোগ পায়নি।