উইন্ডোজ ১১-এর বেটা সংস্করণ উন্মোচন, ব্যবহার করবেন যেভাবে

    0

    লোকসমাজ ডেস্ক॥ ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ ১১-এর বেটা সংস্করণ উন্মোচন করলো বিশ্ব বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। ইনসাইডার প্রোগ্রামের আওতায় এখন থেকে সংস্করণটি ব্যবহার করা যাবে।
    উইন্ডোজ-১১ এর পরীক্ষামূলক সংস্করণকে স্থিতিশীল বলা হলেও এখনও কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। এ কারণে বেটা সংস্করণে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার ক্র্যাশের মতো জটিলতায় পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে মাইক্রোসফট।
    আগের চেয়েও বেশি ব্যবহারবান্ধব করতে উইন্ডোজ ১১-এ অনেক কিছুতেই মানোন্নয়ন করা হয়েছে। উইন্ডোজে ডার্ক এবং লাইট মোড যুক্ত করার বিষয়টি ব্যবহারকারীদের জন্য সারপ্রাইজ ছিল! নতুন সংস্করণটির কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইকন ও অপশন দেখলে স্মার্টফোনের ইন্টারফেসের মতো মনে হবে।
    কম্পিউটার চালু্র পরপরই যে পরিবর্তনটি চোখে পড়বে, সেটি হলো ‘স্টার্ট মেনু’। উইন্ডোজ ১১-এর ‘স্টার্ট’ বাটনটি আগের সব উইন্ডোজের মতো টাস্কবারের বাম দিকে নয়, মাঝামাঝিতে। প্রথম প্রথম একটু অস্বাভাবিক মনে হলেও অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটাকেই আগের চাইতে ব্যবহারবান্ধব মনে হবে।
    চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসার কথা রয়েছে অপারেটিং সিস্টেমটির। এতে নতুন উইন্ডোজ স্টোরের দেখা পাবেন ব্যবহারকারীরা। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা ওই উইন্ডোজ স্টোরে নিজস্ব ইন-অ্যাপ লেনদেন প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর জন্য মাইক্রোসফটকে কোনো কমিশন দিতে হবে না।
    আপনি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারী হলে নিচের ৩ ধাপেই উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে পারবেন-
    ১. আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন চেক করে দেখুন উইন্ডোজ ১১-এর উপযোগী কি-না। পিথি হেলথ চেক টুলটি- https://aka.ms/GetPCHealthCheckApp লিংক থেকে ডাউনলোড শেষে ইনস্টল করে চেক করুন।
    ২. কম্পিউটার স্টাট/রিস্টার্টের মুহূর্তে কিবোডের F2 কিংবা Delete বাটন চেপে মাদারবোডের বায়োসে প্রবেশ করুন। সেখানের Peripherals বা অন্য কোনো অপশনে গিয়ে Trusted Platform Module (TPM) সংক্রান্ত অপশনটা Enable/On করে দিন। এরপর F10 চেপে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
    ৩. সবশেষে কম্পিউটারের সেটিংসে (Start > Settings) গিয়ে সবার নিচে Windows Insider Program সিলেক্ট করুন। আপনার হটমেইল বা আউটলুক ইমেইল লগইন করা না থাকলে সেখানে সাইন ইন করুন। এরপর Pick your insider settings option এ ক্লিক দিয়ে Beta channel (Recommended) সিলেক্ট করুন। এরপর সেটিংসের (Start > Settings) Windows Update অপশনে গিয়ে আপডেট/আপগ্রেড/ইনস্টল করুন।
    কম্পিউটারের ন্যূনতম কনফিগারেশন যা প্রয়োজন
    প্রসেসর: ১ গিগাহার্জ বা তারও বেশি গতির ২ বা ততোধিক কোরের ৬৪-বিটের প্রসেসর।
    র‌্যাম: ৪ গিগাবাইট।
    স্টোরেজ: হার্ডডিস্কে ৬৪ গিগাবাইট+ ফাঁকা স্পেস।
    সিস্টেম ফার্মওয়্যার: ইউইএফআই, সিকিউর বুট বান্ধব।
    টিপিএম: ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০।
    গ্রাফিকস: কমপক্ষে ডিরেক্টএক্স ১২ সমর্থন করতে হবে, এর সঙ্গে উইন্ডোজ ডিসপ্লে ড্রাইভার মডেল (ডব্লিউডিডিএম) ২.০ ড্রাইভার থাকতে হবে।
    ডিসপ্লে: ৯ ইঞ্চির বেশি এইচডি (৭২০ পিক্সেল) রেজল্যুশন।
    এছাড়া উইন্ডোজের আইএসও ফাইল অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেটি ISO to bootable USB Tool দিয়ে পেনড্রাইভে বার্ন/রাইট করে গতানুগতিকভাবে সেটা থেকে সেটআপ দেওয়া যাবে।