শার্শায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

0

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগঁআচড়ার সাতমাইল গ্রামে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় লাবনী খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে পুলিশ লাবনী খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ইমামুল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনী খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে।
প্রথমদিকে সংসার জীবন ভালো চললেও বিপত্তি সাধে স্বামীর পরকীয়া। শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে স্বামীর ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পায় লাবনী। আর এটায় হয় তার জীবনের কাল।
স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার স্বামী। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
নিহতের পিতা সবুজ আলী গাজী জানায়, জামাই প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার সকালেও তাকে মারধর করা হয়। পুলিশ আসার খবরে জামাইসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। এ হত্যার সঠিক বিচার চাই। পুলিশ তদন্ত করলে রহস্য উদঘাটন হবে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের শ্বশুর বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহতের বাপের বাড়ির লোকজন আপাতত অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে যদি হত্যা প্রমাণিত হয় তখন হত্যা মামলা করা হবে।