তালেবান ক্ষমতায় গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে আফগানিস্তান: যুক্তরাষ্ট্র

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তালেবান ক্ষমতা দখল করলে আফগানিস্তান একটি পরিত্যক্ত ও বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করার মুহূর্তে এমন কথা বললেন ভারত সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।প্রথমবারের মতো ভারত সফরে গিয়ে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তান হচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্র, যারা তাদের নাগরিকদের অধিকার দিতে পারে না, উল্টো বিভিন্নভাবে নাগরিকদের নির্যাতন চালায়। ফলে দেশটি আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক বৈধতা পেতে হলে তালেবানকে বদলাতে হবে। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও যেকোনো দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েছে। পাশাপাশি, আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চায় তালেবান। কিন্তু জোর করে ক্ষমতা দখল কিংবা নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে সফলতা আসতে পারে না।
গত বুধবার তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের প্রধান মোল্লা বারদার আখন্দের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছেন। সেখানে তারা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।
আলোচনায় তারা দুই দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৈঠকে তালেবান এবং চীন একে অপরকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়িম এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, রাজনীতি, অর্থনীতি ও উভয় দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ইস্যু এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়িম এক টুইট বার্তায় জানান, তারা চীনকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আফগানিস্তানের ভূমিকে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেয়া হবে না। চীনা কর্মকর্তাদের তালেবান জানিয়েছে, অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এর মধ্যেই দেশটির প্রায় অর্ধেকেরও বেশি জেলার দখল নিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এ অগ্রযাত্রা রুখতে হিমশিম খাচ্ছে আফগান সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে যখন সহিংসতা বাড়ছে সেই মুহূর্তে চীন সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি নিশ্চিতের চেষ্টা করছে তালেবান।