জমি লিজ দিতে রাজি না হওয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাছের ঘের করতে জমি লিজ দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম (৪৫)কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। গতকাল বিকেলে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ্ সেময় স্থানীয় চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাইফুল ইসলাম দেয়াড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবঙ যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর বাজারে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সালিশ বসানো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে এ সালিশ বসে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সদর উপজেলার বুকভরা বাঁওড়ের পাশে সাইফুল ইসলামের ২৫ বিঘা জমি রয়েছে। সুজলপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে ইমন সেখানে কৃষকদের জিম্মি করে জমি নিচ্ছে এবং ঘের করে মাছ চাষ করছে। সাইফুল ইসলামের সেখানে বেশি জমি থাকায় সন্ত্রাসীদের দৃষ্টি পড়ে। কিন্তু সাইফুল ইসলাম ২৫ বিঘা জমি দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গতকাল বিকেল ৪টার নানা ফন্দি ফিকির করে সালিশ বসানো হয়। সেখানে ওই জমি দেয়ার জন্য সাইফুল ইসলামকে প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু রাজি হননি সাইফুল ইসলাম। তখন চেয়রম্যান আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে সুজলপুরের রফিকুল, ইমন, মঠবাড়ি গ্রামের আক্তার, জাহিদ ও টাক হযরতসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় এবং রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে তার সমস্ত শরীর থেতলে যায়। এরপর রামদা দিয়ে সাইফুল ইসলামের মাথায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। রক্তাক্ত দেহ নিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে তার সিটি স্ক্যান করা হয়। ল্যাবস্ক্যান মেডিকেল সার্ভিসেস লিঃ-এ সিটিস্ক্যান করার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তাকে দেখতে যান। এ সময় তিনি সাইফুল ইসলামের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক, খন্দকার শফিউর ইসলাম উপল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান এ সময় তার সাথে ছিলেন।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সাইফুল ইসলামের বাড়ি দেয়াড়া ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামে। পিতার নাম আফসার আলী মোল্যা। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ২৬ জনের জমি জোরপূর্বক লিখে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এর ভেতর ৫ জনের জমি লিখে নিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেছে। ২১ জন জমি দিতে রাজি হয়নি।