খুলনার টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা

0

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া মানুষদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সিরিয়াল ভঙ্গ ও স্থান সংকটের কারণে মানুষের সমাগম ও টিকা দেওয়ার এসএমএস জটিলতা নিয়ে টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে টিকা গ্রহীতাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।
নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনীর বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন টিকা নেওয়ার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের সামনে সোমবার সকাল ৯ টায় এসে লাইনে দাঁড়ান। বেলা সোয়া ১১ টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছান। লাইনের সিরিয়াল এগোয় না বলে তিনি অভিযোগ করেন।এর আগে পেছন থেকে এসে আরেক মহিলা কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি।
স্বামীর সঙ্গে টিকা নিতে আসা নগরীর খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা তানজিয়া খানম অভিযোগে বলেন, আমার বাসা খালিশপুর এলাকায়। আমার টিকা কেন্দ্র খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভি ক্যাম্পে। সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়। একে অপরের গা ঘেষে দাঁড়তে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়েছি। সেখানেও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটেই ভাল না। সিরিয়াল মেইন্টেইন নেই। সবকিছুর পরিবেশ বাজে। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আধাঘন্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টিকা দেওয়ার পর বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
নগরীর গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারের বাসিন্দা মাহাতাবুর রহমান সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের আবেদন করেছিলেন। এখনও মোবাইলে কোনো এসএমএস আসেনি। তিনি শুনেছেন, এসএমএস ছাড়া টিকা দেওয়া যায়। তাই সকাল ৯ টায় কেন্দ্রে এসে টিকা দেওয়ার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষার ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, এখানে জায়গার অনেক স্বল্পতা রয়েছে। মানুষ সচেতন না। যতক্ষণ তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে ততক্ষণ আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে পারব না।
গতকাল এ কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৮শ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ।