যশোরে যুবককে ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি, চক্রের ১ জন আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে শাকিল আহমেদ (৩২) নামে এক যুবককে ফাঁদে ফেলে এবং তাকে আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে একটি অপারাধী চক্রের সদস্যরা। গত রোববার রাতে সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বাজার মোড় থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় চক্রের এক সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী শাকিল আহমেদ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। শাকিল আহমেদের অভিযোগ, তিনি ফ্রিজ মেরামতের কাজ করেন। কালীগঞ্জের শাখো বাজারে তার দোকান রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে সুমি খাতুন (২৫) নামে এক যুবতীর সাথে তার পরিচয় হয়। ওই যুবতী যশোর সদরের ঝুমঝুমপুরস্থ বিজিবি ক্যাম্পের পেছন এলাকার চান্দ আলীর মেয়ে। গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সুমি তাকে মোবাইল ফোন করে যশোরের হাশিমপুর বাজারে দেখা করতে বলেন। পরে তিনি সেখানে গিয়ে তার সাথে দেখাও করেন। সুমির সাথে এ সময় সোনালী (২২) নামে এক যুবতী ছিলেন। সোনালী শার্শা উপজেলার মানিকদিয়া পশ্চিমপাড়ার জিয়াউর রহমানের মেয়ে। বর্তমানে তিনি যশোরের ঝুমঝুমপুরস্থ বিজিবি ক্যাম্পের পেছন এলাকায় বসবাস করেন। রাত ৯ টার দিকে সুমি ও সোনালী তাকে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের দুলাল মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন ছিলেন। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর সুমি, সোনালী ও মামুনসহ তাদের সঙ্গীরা তাকে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে মারপিট করেন এবং তার কাছ থেকে একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল (ঝিনাইদহ-হ-১২-৫৫০৬), দুটি মোবাইল ফোনসেট ও নগদ আড়াই হাজার টাকা কেড়ে নেন। পরে তারা তার কাছ থেকে আরো ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রামকৃষ্ণপুরে চান্দ আলী বিশ্বাসের ছেলে চক্রের সদস্য সোহাগ বিশ্বাসের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রামকৃষ্ণপুর বাজার মোড়ে পৌঁছালে তিনি লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে রক্ষার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন এবং মোটরসাইকেল থেকে নামার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এসময় তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। সাথে সাথে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার এবং চালক মারুফ হোসেনকে হাতেনাতে আটক করেন। চক্রের অন্য সদস্যরা এ সময় সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে ক্ষুব্ধ লোকজন চক্রের সদস্য মারুফকে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক মারুফ বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় শাকিল আহমেদ ৭ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, মারুফ হোসেন, সুমি খাতুন, সোনালী, সোহাগ বিশ্বাস, সদরের মনোহরপুরের খলিলুর রহমানের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, মামুন মোল্লা ও সুজন মন্ডল (বাঘারপাড়ার কৃষ্ণনগরের কোহিনুরের ছেলে)। সূত্র আরো জানায়, আটক মারুফকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।