পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ পাইকগাছায় দেড় শ বিঘার চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘেরের বাসা পুড়িয়ে দেয়া ও দুটি ঘেরের মাছ লুট করার অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের কেকচিবুনিয়া মৌজায় দেড় শ বিঘার বিরোধপূর্ণ চিংড়ি ঘের অবস্থিত। যার মধ্যে ৬০ বিঘা জমিতে সানাউল্লাহ হক গং ও ৯০ বিঘাতে হাবিবুর রহমান গং পৃথক ভাবে কয়েক বছর ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। মঙ্গলবার বিকেলে জমির মালিকদের হারির টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে হাবিবুর রহমান ও টুলু গাজী সানাউল্লাহ হকের ৬০ বিঘার চিংড়ি ঘের দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হন।
আহতরা কয়রা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় টুলু গাজী সানাউল্লাহ হককে প্রধান আসামি করে শনিবার ১০জনের নামে পাইকগাছা থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে একাই দিন সানাউল্লাহ হক টুলু গাজীকে প্রধান আসামি করে ১০জনের নামে পাইকগাছা থানায় পৃথক আরেকটি মামলা করেন। উভয়পক্ষের আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রাতে সানাউল্লাহ হকের ঘেরের বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে উভয় পক্ষ পুড়িয়ে দেয়া ঘেরের ওই বাসাটি নিজেদের বলে দাবি করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় হুমায়ন কবীর সহ উপস্থিত অনেকেই চিংড়ি ঘেরের বাসাটি সানাউল্লাহ হকের বলে জানান। সানাউল্লাহ হক জানান, টুলু গাজী তার বাসাটি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং দুটো ঘের এক করে মাছ লুট করে নিয়েছে । অপর দিকে, টুলু গাজী জানান, দেড় শ বিঘা ঘের তাদের। সানাউল্লাহ হক গং ঘের দখল করতে আসলে সংঘর্ষ বাধে,ওই সময় তারা ঘেরের বাসাটি পুড়িয়ে দিয়েছ। বাইনবাড়িয়া ক্যাম্প ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, চিংড়ি ঘের নিয়ে সংঘর্ষ ও ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।